The News বাংলা, কলকাতাঃ নতুন বছরে বাংলার কৃষকদের জন্য কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর শুরুর আগেই বাংলার কৃষকদের জন্য ২টি নতুন প্রকল্প ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরে এই প্রকল্প দুটির সাহায্য পাবেন কৃষক ও খেত মজুররা। কৃষক ও খেতমজুর পরিবারের কেউ মারা গেলে সরকার আর্থিক সাহায্য করবে এবং কৃষি কাজের জন্য সরকার টাকা দেবে।
আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনাকে প্রথম অভিনন্দন জানালেন নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নতুন বছরের জোড়া উপহার। দু দুটি প্রকল্প বাংলার কৃষক ও খেত মজুরদের জন্য। ২০১৯ সাল শুরুর ঠিক আগেই ‘কৃষক বন্ধু’ নামে একটি প্রকল্প চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ থেকে ৬০ বছরের কোন কৃষক ও খেত মজুরের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। ২ লক্ষ্য টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মমতা। টাকা দেবে রাজ্য সরকারের কৃষি দফতর।
আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য জয়, ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় শেখ হাসিনা
চাষের জন্য একর প্রতি ৫ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। এই টাকা চাষের কাজে ব্যবহার করতে পারবে কৃষকরা। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন জিতেই কংগ্রেস সরকার কৃষি ঋণ মকুবের ঘোষণা করেছিল। তবে সেই নিয়ে বিতর্কও কম হচ্ছে না। মমতাও রাজ্যের কৃষকদের জন্য উপহার এনে দিলেন তবে কোন শর্ত ছাড়াই।
আরও পড়ুন: ১১ বছর পর দার্জিলিং কালিম্পঙে তুষারপাতে বেড়ানোর আনন্দ দ্বিগুন
‘১৮ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কোনও কৃষক ও খেত মজুর মারা গেলে সরকার ২ লাখ টাকা দেবে পরিবারকে। অসুস্থ হয়ে, দুর্ঘটনায় বা যে কোনও ভাবে মারা গেলেও এই টাকা পাওয়া যাবে কৃষি দফতরের মাধ্যমে’, জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে সল্টলেক নিউটাউনের বাড়িঘর
একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘প্রতি বছর কোনও একটি ফসলের চাষের জন্য একর প্রতি দুই কিস্তিতে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ৫০০০ টাকা পাবেন কৃষক। এক একরের কম জমির জন্যও টাকা পাওয়া যাবে। রবি ও খরিফ চাষের জন্য এই টাকা পাবেন কৃষকেরা’।
আরও পড়ুন: জেলেই সুমন চট্টোপাধ্যায়, সিবিআই নজরে বাংলার আরও তিন সাংবাদিক
এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আগেই তাঁর সরকার কৃষি জমিতে খাজনা মকুব করে দিয়েছেন। মিউটেশন ফি দেওয়া থেকেও ছাড় দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। সম্প্রতি অনলাইনে মিউটেশন করারও ব্যবস্থাও করেছে তৃণমূল সরকার।
আরও পড়ুন: হাজার হাজার রুটি নষ্ট করে কৃষক আন্দোলনে ইতিহাস বাংলার বামেদের
বাংলায় ৭২ লক্ষ কৃষক ও খেত মজুর এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হবেন বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানুয়ারি থেকেই চালু হয়ে যাবে এই প্রকল্প। ফেব্রুয়ারি থেকে কৃষকরা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে ৫৯ দিয়ে এসএসসি-র নতুন কীর্তি
আগেই বাজেটের সময় মমতা জানিয়েছিলেন, এবার রাজ্যের ১ লক্ষ কৃষককে পেনশন দেবে রাজ্য সরকার। আর পেনশনের টাকাও বাড়ানো হচ্ছে। এক লক্ষ কৃষক এবার এক হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। সেইসঙ্গে গৃহনির্মাণের স্ট্যাম্প ডিউটিতেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এক শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার।
আরও পড়ুনঃ ‘বিজেপির বন্ধু অধীর চৌধুরী মুর্শিদাবাদের বর্তমান মীরজাফর’
চা শিল্পেও কৃষি আয়কর তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে ২৫ লক্ষ চা শ্রমিক উপকৃত হবেন। চা পাতা উৎপাদনের উপর শিক্ষা সেস ও গ্রামীণ কর্মসংস্থানের উপর সেসও সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্লাস্টিক পলিপ্যাক থার্মোকল দূষণ মুক্ত করার অসাধারণ লড়াই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সব প্রকল্পের পর ও কৃষকদের জন্য বিভিন্ন ঘোষণার পর, নতুন বছর থেকেই এর সুবিধা পাবেন কৃষকরা। লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই জনমোহিনী নীতি নিচ্ছে সরকার, অভিযোগ বিজেপি সহ বিরোধীদের। মা মাটি মানুষের সরকার, সবসময় কৃষকদরদী সরকার, বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।