The News বাংলাঃ ৭২ হাজার টন হিরে লুকিয়ে রয়েছে একটি শহরে! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। কী ভাবেই বা এত হিরে এল এই শহরে? পড়ুন গল্প হলেও সত্যি।
আরও পড়ুনঃ ভগবান যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন ও বড়দিনের না জানা গল্প
গোটা একটি শহর। আর তার মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে রাশি রাশি হিরে। কোথায় সেই শহর? কী ভাবেই বা এত হিরে এল এই শহরে? এই হিরেগুলি প্রতিটি বাড়িতেই লুকানো রয়েছে। কিন্তু তা এতই সূক্ষ্ম যে বোঝা যাচ্ছে না। ব্যপারটা আসলে কী?
আরও পড়ুনঃ ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ হয়ে ভারত পাকিস্তানকে বাস্তবে মিলিয়ে দিল বাংলা
আর ধোঁয়াশা না বাড়িয়ে এবার খোলাশা করা যাক। জার্মানির বাভারিয়া স্টেটের নর্ডলিনজেন শহরে রয়েছে এই হিরে। কিন্তু এই হিরে যে শুধুমাত্র রত্ন হিসেবে জরুরি তা কিন্তু নয়, কেননা এই হিরের গুরুত্ব অন্য দিক থেকেও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের বেশ কিছু অজানা কাহিনী
সূত্রের খবর, প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে প্রায় ২৫ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড বেগে এক গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীর বুকে। সেই গ্রহাণুর সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের সংঘর্ষ হয়। এর ফলে যে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছিল জার্মানির এই জায়গায়, তা এই গোটা শহরটারই সমান। এভাবেই শহরটার উৎপত্তি।
আরও পড়ুনঃ মানব জীবনে সঙ্গীতের অসংখ্য উপকারিতা
এই বিস্ফোরণে সৃষ্ট মারাত্মক চাপ ও তাপের ফলে ‘কোর্স-গ্রেইনড’ পাথর সুয়েভাইট তৈরি হয়েছিল। এতে থাকে কাচ, কার্বন কেলাস ও হিরে। সংঘর্ষের পরে এই হিরেই ছড়িয়ে পড়েছিল এই শহরে। কিন্তু তা এতটাই সূক্ষ্ম যে, সেগুলি খালি চোখে দেখা যায় না। ষাটের দশকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেন, এই হিরে গ্রহাণু থেকেই এসেছে।
আরও পড়ুনঃ ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে সল্টলেক নিউটাউনের বাড়িঘর
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘সরকারি’ সন্ধি মমতার
৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে এই শহরের বাসিন্দারা সুয়েভাইট দিয়ে বাড়ি তৈরি করেন। গির্জা থেকে সাধারণ বাড়ি, সবই তৈরি হয় এই হিরের পাথর দিয়ে। এই সময় থেকেই বসতি গড়ে ওঠে এই শহরে। যেহেতু নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে সূক্ষ্ম হিরের কুচি লুকিয়ে রয়েছে, তাই প্রতিটি বাড়িও তো এক অর্থে হিরের বাড়ি। প্রায় ৭২ হাজার টন হিরে রয়েছে এই শহরের বাড়ির নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে ৫৯ দিয়ে এসএসসি-র নতুন কীর্তি
‘হাই ক্যারাট’ বাড়িগুলি নিয়ে তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিশেষ গর্ব রয়েছে। বাড়ির মধ্যেই যে রয়েছে হিরে। খুব সূক্ষ্ম এই হিরের কণা, প্রায় ০.২২ মিমি ব্যাস। এত ঘন ও সূক্ষ্ম হলেও এই হিরে তো ব্যবহার করা যায় না। তবে পর্যটকদের মধ্যে এই হিরের বাড়ির শহর নিয়ে আগ্রহ তো রয়েছেই।
স্থানীয় রাইস ক্রেটার মিউজিয়ামে এই ঘটনাটি নিয়ে বেশ কিছু দ্রষ্টব্য ও নিদর্শন রয়েছে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে উৎসুকদের ভিড় লেগেই থাকে এই শহর ও মিউজিয়ামে। সেই ভিড় অবশ্য চোখে পড়ার মতো তা বলতেই হবে। যাবেন নাকি এই হিরের শহর দেখতে?