The News বাংলা, কলকাতা: শেষ পর্যন্ত বাংলায় রথযাত্রার বা ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’র অনুমতি দিল না রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার রাতেই বিজেপি দফতরে পৌঁছে যায় রাজ্য সরকারের মত। জানা গেছে বিজেপি দফতরে ফ্যাক্স করে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ মমতার বাধায় মোদীর রথ ফের ঢুকতে চলেছে সেই আদালতেই
জানা গেছে রাজ্য সরকারের ফ্যাক্স এ পরিষ্কার ভাবে রথ যাত্রার কোন অনুমতি দেওয়া হয় নি। সেখানে বাংলায় রথাযাত্রার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি তবে মোদী এবং অমিত শাহ সহ অন্যান্য নেতাদের সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও সভা হলে বিজেপিকে তার জন্যও জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে হবে বলে ফ্যাক্স এ উল্লেখ করা আছে বলে জানা গিয়েছে।
মনে করা হয়েছিল, ৪২ দিনের ‘রথ যাত্রা’ শেষ করতে হবে ১৪ দিনে, এমন নির্দেশ দিতে পারে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এমন পরামর্শই পেতে পারে বাংলা বিজেপি, এমনটাই জানা যাচ্ছিল নবান্ন সূত্রে। আর সেটা মেনে নেওয়া কোনরকমেই সম্ভব নয়, সেটাও জানিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। ফলে ‘রথ’ আবার ঢুকতে চলেছে সেই আদালতেই, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করুক মোদী ও মমতা’ ঘোষণা বিচারপতির
রাতে সব জল্পনা উড়িয়ে ৪২ দিনের ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার’ অনুমতি দিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ৪২ টি লোকসভা এলাকা স্পর্শ করতে ৪২ দিনের যাত্রা ছিল বিজেপির। কিন্তু ডিসেম্বরে ক্রিস্টমাস ও জানুয়ারিতে গঙ্গাসাগর উৎসবের জন্য এই অনুমতি দেওয়া গেল না বলেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রী সহ অন্য নেতাদের বাংলায় আসা ও সভা করা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ৪২ দিনের রথ যাত্রার কোন অনুমতি কোনরকমেই দিল না প্রশাসন।
আদালতের নির্দেশে শনিবারের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হল বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। তবে সরকারের এই যাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত কোনরকমেই মানা হবে না বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতারা। ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার’ হবেই, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফের কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।
আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে মুখ রক্ষা বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র
‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার ঠিক করে দিক রথ যাত্রা শুরুর দিন’, লালবাজারে বিজেপি প্রতিনিধি দল জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসনকে। আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার লালবাজারে বৈঠকে বসে বিজেপি ও রাজ্য প্রশাসন। রথ যাত্রা নিয়ে যা বলার, পরে জানিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। তবে বিজেপির যাত্রায় সরকার একেবারেই অনুমতি দেবে না সেটা ভাবতেও পারেন নি বিজেপি নেতারা।
বিজেপির এই যাত্রা বহু স্পর্শকাতর এলাকা দিয়েই যাবে তাই ঝামেলার আশঙ্কায় এই যাত্রা বাতিল করা হল বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। ৪২ টি লোকসভা আসনের যে যে এলাকা দিয়ে রথ যাবে সেই সব এলাকায় অনেক সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়ের মানুষের বাস। ওখান দিয়ে রথ যাত্রা গেলে অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে, এই অজুহাতেই এই যাত্রা বাতিল করা হল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলায় রথ যাত্রা হবেই’ মমতাকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালবাজারের কনফারেন্স রুমে রাজ্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি প্রতিনিধি দল।’গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি তা রাজ্যের প্রতিনিধি দলকে জানান বিজেপি নেতারা। মুখ্যসচিব জিজ্ঞাসা করেন, ‘তাহলে রথযাত্রা নাম কেন’? বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে জানিয়ে দেন, এই যাত্রার নাম ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ মোটেও রথ যাত্রা নয়। তারপরেও অনুমতি না মেলায় ফের আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চ ও তারপর ফের ডিভিশন বেঞ্চে যেতে চলেছে বিজেপি।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার কোনোরকমেই বিজেপিকে এতদিন ধরে এই ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’র অনুমতি দেবে না সেটা আগেই ঠিক ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পুরো যাত্রার অনুমতিই দেওয়া যাবে না বলেই বিজেপিকে শনিবার রাতে জানিয়ে দিল তারা। আর অবধারিত ভাবেই সেটা মানবে না বিজেপি। সবমিলিয়ে বিজেপির ‘যাত্রা’ আবার আদালতেই যেতে চলেছে। বলা হচ্ছে মমতার বাধায় ‘মোদীর রথ’ ফের ঢুকতে চলেছে সেই আদালতেই।
পড়ুন হাড় হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন তৃতীয় ও শেষ পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা