The News বাংলা, জয়নগরঃ জয়নগরে বিধায়কের গাড়িতে বোমা গুলির ‘শুট আউট’ এর তদন্তভার দেওয়া হল সিআইডি কে। বৃহস্পতিবার রাতে এই ভয়াবহ হামলা হয়। রাজ্যের বিধায়কের গাড়িতে বোমা গুলি নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গাড়ির চালক সহ তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের নাম শরিফুদ্দিন খান, সেলিম খান ওরফে বাবু ও আমিন আলি সর্দার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটে জয়নগর থানার দুর্গাপুর মোড় পেট্রোল পাম্পে। আগেই গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ায় বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করুক মোদী ও মমতা’ ঘোষণা বিচারপতির
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। গাড়িতে বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস ছাড়াও ছিলেন গাড়িচালক সেলিম খান ও তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন খান সহ আরও একজন। গাড়িতে আসার পথে জয়নগরের বহরুতে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে নেমে যান বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস।
তারপর বিধায়কের গাড়িতে তেল পুড়তে জয়নগর মোড় পেট্রোল পাম্পে যায় চালক সহ তিনজন। জয়নগরের দুর্গাপুর মোড় পেট্রোল পাম্পে তেল পুড়ে বিধায়কের গাড়ি বাইরে আসতেই গাড়ির উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমা ও গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তিনজন।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় এনআরসি চালু হলে রাজ্য ছাড়ার আশঙ্কায় আন্দোলন
দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমা ও গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনেরই। গাড়ির ভিতরে বসে থাকা তিন যাত্রীর উপরই গুলি চালানো হয়। গুলির পাশাপাশি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজিও করা হয়। গাড়ির চালক সেলিম খান, তৃণমূল নেতা শরিফুদ্দিন খান ও বিধায়কের কাছে কাজে আসা স্থানীয় বাসিন্দা আমিন আলি সর্দারের মৃত্যু হয় এই ঘটনায়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায় জয়নগর থানা এলাকার দুর্গাপুর মোড়ে। জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের দাবি, তাকে খুনের জন্যই দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নামে জয়নগর থানার পুলিশ। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডি কে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল সরকার ঠিক করবে বিজেপি রথ যাত্রার দিন
জানা যায়, পেট্রলপাম্প থেকে জ্বালানি ভরে বেরোনোর সময়ই আচমকা গাড়িটি ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। তারা গাড়ি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি ও বোমা ছুঁড়তে থাকে। প্রায় ১৫-১৬ জন দুষ্কৃতী ছিল বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। পেট্রোল পাম্পের সব সিসিটিভি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সিসিটিভি দেখে দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানার চেষ্টা করবে পুলিশ ও সিআইডি।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: দিল্লীর নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডের পরেও নিরাপত্তাহীন কলকাতার বাস
রাতেই, বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস এবং বারুইপুর পুলিশ জেলার একাধিক পুলিশ আধিকারিকরা চলে আসেন ঘটনাস্থলে। বিধায়ককেই কি মারার লক্ষ্য ছিল? না একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকা তৃণমূল নেতা শরিফুদ্দিন খানই টার্গেট ছিলেন? প্রশ্ন উঠেছে। বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস জানিয়েছেন, তিনিই ছিলেন টার্গেট। বরাতজোরে আগেই পার্টি অফিসে নেমে যাওয়ায় প্রাণে বাঁচেন বিধায়ক।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ, নাসিকে দাম না পেয়ে আত্মহত্যা
পুলিশের কাছে বিশ্বনাথ দাস দাবি করেন, তাঁকে খুনের উদ্দেশ্যেই দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। তবে কি কারণে এই হামলা সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। এর পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ রয়েছে, নাকি অন্য কোনও কারণ সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে জয়নগর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এবার এই ‘শুট আউটের’ তদন্তের দায়িত্ত্বে সিআইডি। ঘটনার তদন্তের দিকে কড়া নজর রেখেছেন রাজ্যের আইজি আইন শৃঙ্খলা অনুজ শর্মা। এই শুট আউটের পিছনে কারা এবং কেন? ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।