The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ শুক্রবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকা থেকে অস্ত্র সহ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, কোচবিহারের দিকে যাওয়ার সময়ই শিলিগুড়ি থেকে পুলিশ তাদের অস্ত্র সহ পাকড়াও করে। তবে কি বিজেপির ‘রথ যাত্রা’ উপলক্ষে অশান্তি ছড়াতেই এরা কোচবিহার যাচ্ছিল? অস্ত্র হাতে এরা কারা? উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে মুখ রক্ষা বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র
শিলিগুড়ি ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পূর্ব-১ গৌরব লাল সংবাদমাধ্যমকে জানান,’নিয়মিত আমরা জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং করি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবারও শহরের বিভিন্ন সড়কে নাকা চেকিং করার সময় বেশ কয়েকজনকে নাইন এম এম পিস্তল সহ গ্রেপ্তার করা হয়। তারা কোথায় ও কি কারনে যাচ্ছিল সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ’।
পুলিশ জানিয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে ১ জন, শিলিগুড়ি থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে ২ জন, প্রধাননগর থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে ১ জন ও বাগডোগরা এলাকা থেকে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা প্রতেক্যেই কি কোচবিহার যাচ্ছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলায় রথ যাত্রা হবেই’ মমতাকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের
ধৃতরা হল, কাজল বর্মন, রাজু রায়, লাড্ডু রায়, দীনেশ রায়, সুরজিত রায় ও মহম্মদ জাহাঙ্গীর। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি নাইন এমএম পিস্তল ও তাজা কার্তুজ এবং একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সুরজিতের নামে আগে থেকেই খুন সহ একাধিক অভিযোগ ছিল।
পুলিশ সুত্রে খবর, ধৃতরা সবাই কোচবিহার যাবার উদ্দেশ্য বাসে চেপে যাচ্ছিল। সে সময়ই তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলি পাওয়া যায়। গৌরবলাল বলেন, ‘ধৃতদের সাথে আরও অনেকে ছিল। তারা সবাই নাকা চেকিং করতে দেখে পালিয়ে যায়। ধৃতদের শুক্রবার শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ ১২
অস্ত্র নিয়ে কোচবিহার কেন যাচ্ছিল এই যুবকরা? উঠেছে প্রশ্ন। তাহলে কি বিজেপির ‘রথ যাত্রা’ বা বিজেপির সভা উপলক্ষে গুলি চালিয়ে অশান্তি ছড়ানোর জন্যই কি গ্রেফতার হওয়া যুবকরা কোচবিহারের দিকে যাচ্ছিল? বড় কোন ষড়যন্ত্র কি কাজ করছিল এর পিছনে? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কোচবিহার ‘রথ যাত্রা’ ও কলকাতা হাইকোর্টে ‘রথ যাত্রা’ নিয়ে আইনি লড়াই এর মাঝে এই গ্রেফতারের খবর নজর এড়িয়ে গেছে সবার। কিন্তু পুলিশের গ্রেফতারি এড়িয়ে এই দুষ্কৃতীরা কোচবিহারে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়লে কি হত? সত্যি কি কোচবিহারে অশান্তির জন্যই এরা অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিল? বড় ধরণের ঘটনা এড়াতে পারল বাংলা? সব কিছু খতিয়ে দেখছে শিলিগুড়ি পুলিশ।