The News বাংলা, দুবরাজপুর: কলেজে নবীন বরণ বলে কথা। সেখানে মঞ্চে বাউল, পল্লীগীতি, ছৌ নাচ চলছে। সহ্য হয় বলুন!? হয়ও নি। তারপর যা হবার তাই হল। মঞ্চে উঠে বাংলা সংস্কৃতির ‘ব্যান্ড’ বাজিয়ে দিল ছাত্র সংসদের ছেলেরা। ভাঙা মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা অধ্যক্ষ ভাবছেন ভুলটা কোথায় হল!
আরও পড়ুনঃ মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল, সিন্ডিকেট জুলুমে রাজ্য ছাড়ছেন শিল্পপতি
কলেজের নবীন বরন অনুষ্ঠানে চটুল গান নাচের দৃশ্য অনেক দেখা গিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে অনেক। কিন্ত, বীরভূমের দুবরাজপুরে কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে চটুল গান-নাচ কেন হচ্ছে না, এর প্রতিবাদে মঞ্চ ভাঙলেন তৃণমূল ছাত্র সংসদ-এর ছাত্র নেতারা। এই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি আবার জেলার নেতা কৃষি মন্ত্রী আশিষ ব্যানার্জী।
অধ্যক্ষ গৌতম চ্যাটার্জীর দাবী কলেজের নবীন বরন অনুষ্ঠানে বাউল, ছৌ নৃত্য এর মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ায়, অনুষ্ঠানই বন্ধ করে দিল ছাত্ররা। এমনকি ভেঙে ফেলা হলো মঞ্চও। কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের মত বীরভূমের ঐতিহ্যবাহী কলেজে এমন ঘটনায় হতবাক সকলেই।
কি বলছেন কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম চ্যাটার্জীঃ
কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম চ্যাটার্জীর দাবী, শনিবার ফেসার্সদের জন্য নবীন বরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। যেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে আয়োজন করা হয়েছিলো বাউল গান, ছৌ নৃত্য সহ বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠান চলার সময়ই বেশ কিছু ছাত্র মঞ্চে উঠে ঝামেলা করতে শুরু করে। ভাগিয়ে দেয় সব শিল্পীদের।
আরও পড়ুনঃ আইনজীবী খুনে পুলিশের হাতে আটক রজতের স্ত্রী অনিন্দিতা
তারপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠান। তারা বলে, বাউল, ছৌ নাচ দিয়ে এরকম নবীন বরন অনুষ্ঠান হতেই পারে না। অনুষ্ঠান বাতিল বলে ঘোষণা করে তারা। ভেঙে দেওয়া হয় মঞ্চ। পরে চাঁদা তুলে আবার অনুষ্ঠান করার কথা জানায় তারা। সেখানে ‘অন্য’ গান নাচ হবার ঘোষণাও করে দেওয়া হয়েছে। আর সেটাই নাকি হবে ফেসার্সদের জন্য নবীন বরন অনুষ্ঠানের আসল আয়োজন হবে!
আরও পড়ুনঃ ‘বেআইনি মদের টাকা যায় মমতার ভাইপো অভিষেকের বাড়িতে’ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
সাংস্কৃতিক মঞ্চে ছাত্র সংসদের এইরকম অসাংস্কৃতিক তান্ডবে হতবাক কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম চ্যাটার্জী। তিনি হাতজোড় করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের অনুরোধ করেন শনিবারের অনুষ্ঠান হতে দাও, পরে আবার তাদের পছন্দ অনুযায়ী অনুষ্ঠান হবে। তা মানতে চায় নি ছাত্ররা। মঞ্চ ভেঙে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তারা।
অনুষ্ঠান মাঝপথে এলাকা ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে যায় বাউল, ছৌ শিল্পীরা। ভয়ে এলাকা ছাড়েন অনান্য সাংস্কৃতিক শিল্পীরাও। শিক্ষাবিদরা মজা করে বলছেন, ‘অনুব্রতের চ্যালারা কিছুটা ছাপ তো রাখবেই’।