কৃষ্ণা দাস, শিলিগুড়িঃ শহরের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন বিজেপির জেলা সভাপতির। শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকার সময়ই শহরের নাগরিকদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও আইনের অবনতির অভিযোগ তুলে পুলিশ প্রশাসনকে এক হাত নিলেন বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরি। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির অন্যতম জনবহুল অঞ্চল, তাঁর বাড়ির সামনে দুই দুষ্কৃতি তাঁর ওপর আক্রমন করে। এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেবার চেষ্টা করে।
শিলিগুড়ি বিজেপি সুত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর রাত ১০টা ৩০নাগাদ, দলীয় কর্মসূচি সেরে শিলিগুড়ি অন্যতম জনবহুল অঞ্চল আশ্রমপাড়ার রামকৃষ্ণ রোডে নিজের বাড়িতে ঢুকছিলেন অভিজিত রায় চৌধুরি। বিজেপি জেলা সভাপতি, তার নিজ বাসগৃহে ঢোকার মুখেই দুই বাইক আরোহী দুষ্কৃতি তার ওপর হামলা চালায়। ওইসময় তার নিরাপত্তারক্ষি ও অন্যান্য মানুষের সামনেই তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে।
সেই ধস্তাধস্তিতে তার মোবাইল ফোনটি মাটিতে পরে গিয়ে ভেঙে যায়। এরপরই ওই দুই বাইক আরোহী দুষ্কৃতি, ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এরপরই অভিজিৎ বাবু স্থানিয় পানিটাঙ্কি ফাঁড়িতে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও তৃণমূল-সিপিএমের আন্দোলন
অভিজিৎবাবুর অভিযোগ, এধরনের ঘটনা শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়া, হাকিমপাড়া সহ শহরের এদিকে- ওদিকে প্রায় রোজই ঘটে চলেছে। তার ওপর এদিন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন শিলিগুড়িতে। কিন্তু পুলিশ তাতেও কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছে না। পুলিশ শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা প্রদান এবং বিজেপি নেতাদের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করতে ব্যস্ত। কিন্তু শিলিগুড়ির সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ।
দুষ্কৃতি হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির দার্জিলিং জেলার সভাপতি। দুস্কৃতিরা মোবাইল ছিনতাই করতে এসেছিল বলেই প্রাথমিক সন্দেহ। তবে, এর পাশাপাশি অভিজিৎ রায় চৌধুরি তাঁর উপর গোয়েন্দাগিরির অভিযোগও এনেছেন। তাঁর মতে, মোবাইল চুরি করার অন্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে দুই বাইক আরোহী দুষ্কৃতির। মোবাইল চুরি করে তাঁর গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখতেই এই কাজ করানো হতে পারে বলেও তাঁর অনুমান।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে তৃণমূল নেতাদেরই শাস্তির দাবীতে পোস্টার
যদিও এবিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবুও তার অভিযোগ, শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির পরও বাইক আরোহী দুষ্কৃতিরাজ বাড়বাড়ন্ত গোটা শিলিগুড়ি শহরে। কোন নিয়ন্ত্রন নেই প্রশাসনের। প্রশাসন শুধু তৃণমূল নেতানেত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বাস্ত। সাধারণ মানুষের কথা ভাবার সময় কোথায়।
যদিও শিলিগুড়ি পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে, এটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই জানানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাইক আরোহী দুষ্কৃতিদের খোঁজ শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ।