প্রোমোটিং সংক্রান্ত ঝামেলায় অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি, ফের আঙুল পরেশ স্বপনের দিকে। বাড়ি ভেঙে প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদ, তার জেরেই নারকেলডাঙায় এক ৮মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল ও তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার অনুগতদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত যুবতী, কিরণ দেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে, ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত বিধায়ক ও কাউন্সিলর অবশ্য সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
নারকেলডাঙায় শরিকের সঙ্গে থাকে, শিবশংকর দাসের পরিবার। তাঁর দাবি, চারজনের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা, তাঁদের বাড়ি প্রোমোটারের হাতে দিতে রাজি। কিন্তু যাঁর নামে চুক্তি, তিনি ব্যক্তিগত কারণে বাড়ি থেকে চলে যান। এর মধ্যে প্রোমোটার তাঁর লোকজন নিয়ে বাড়ি তৈরির ব্যাপারে, চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু এক শরিক না থাকার ফলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে, শিবশংকর প্রোমোটিংয়ের কাজ শুরুর আগেই বাধা দেন।
আরও পড়ুনঃ “পঞ্চায়েতে দুর্নীতিতে জড়িতদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে হবে”, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাসের অভিযোগ, প্রোমোটিং সংক্রান্ত এই বিষয় নিয়েই কথা বলার জন্য তাঁদের দেখা করতে ডেকেছিলেন, তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও বিধায়ক পরেশ পাল। তাঁদের দলের ‘ছেলেরা’ এসে, ‘তলব’ করে যায়। কিন্তু বাবা-ছেলে কেউই যেতে রাজি হননি। এরপরই চলে তাণ্ডব। অভিযোগ, শ-খানেক ছেলে এসে আচমকাই তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় দীপককে। কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে, তিনি নারকেলডাঙা থানায় যান।
কিন্তু সেখানে আরও সমস্যা অপেক্ষা করে ছিল বলেই দাবি, শিবশঙ্কর-দীপকের। তাঁদের বক্তব্য, থানায় কোন অভিযোগ তো নেওয়া হয়নি। উল্টে তাঁদের দুজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। শিয়ালদহ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরলে দেখেন, বাড়িতে তাণ্ডব হয়ে গেছে। দীপকের দাবি, তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছে হা’মলাকারীরা, যার জেরে তাঁর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।
মারধর করা হয়েছে বাড়ির শিশুদেরও। দীপকের মা ও আক্রান্তের শাশুড়ির এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। অভিযোগ, টাকাপয়সাও লুঠ করা হয়েছে। সব কিছু ভাঙচুর করে দিয়েছে হামলাকারীরা। গোটা ঘটনায় অভিযোগের দিকে তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলরের দিকে। তবে অভিযুক্ত বিধায়ক ও কাউন্সিলর অবশ্য, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।