শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে; ‘জুতো মা’রার দা’ওয়াই’ দিয়ে বিতর্কে বিজেপি নেতা। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে মেয়েকে দুর্নীতি করে চাকরি দেওয়া বিতর্কিত বাবা; পরেশ অধিকারীকে জুতো মা’রার দা’ওয়াই দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায়। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের এক সভায় তিনি বলেন; “পরেশ অধিকারীকে যেখানেই দেখবেন; জুতো দিয়ে মা’রবেন”। এরপরেই জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
পরেশকে জুতো মা;রার নিদান দিয়ে বিতর্কে; বিজেপি নেতা দধিরাম রায়। “এটাই বিজেপির রুচির পরিচয়”; সমালোচনা করেছেন কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। জলপাইগুড়ির মেখলিগঞ্জে সভা করতে এসেছিলেন; বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের, আট বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে; মেখলিগঞ্জ বাজারে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায়, বিজেপির তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জয়ন্ত রায়; বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী; বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় সহ প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ সিবিআই হেফাজতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভার রুম, ভয়ে কাঁপছে বড় ঘুষখোররা
এদিনের সভা থেকে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীকে; তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপবাবু বলেন, “পরেশবাবু যখন বামফ্রন্টের মন্ত্রী ছিলেন; তখন রেশন নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল। পরেশবাবু নিজের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি দিয়েছেন। সিবিআই তদন্ত না হলে; আমরা জানতেই পারতাম না। পুলিশ এখন ঠুটো জগন্নাথ হয়ে গিয়েছে; তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ছাড়া কথা শুনতে পায়না। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে লুট করে ছেড়ে দিয়েছে”।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা জানতেই পারেনি, তার ‘পাগল প্রেমিক’ ছেড়ে চলে গেল চিরবিদায়ে
এরপরেই পরেশ অধিকারীকে জুতো-পে’টা করার নি’দান দিয়ে; বিতর্কে জড়ান বিজেপি নেতা দধিরাম রায়। বিজেপির এই সভায় সব বক্তারই আ’ক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তবে সবার মধ্যে, দধিরামই বক্তব্যে মাত্রা ছাড়ান। পরে তিনি বলেন; “চোরদের দেখলে জুতোর মালা পড়াতে হয়; তাই একথা বলেছি”। মেখলিগঞ্জ আইএনটিটিইউসির শহর সভাপতি, তৃণমূল নেতা অমিতাভ বর্ধন চৌধুরী বলেন; “দধিরামের রাজনৈতিক জীবন, পরেশবাবুর ছত্রছায়াতেই বেড়েছিল”। ভবিষ্যতে দধিরাম রায়কে এই মন্তব্যের জন্য জবাব দিতে হবে”।