মৃত্যুতেও রূপঙ্করকে কামানোর সুযোগ দিয়ে গেলেন কেকে; কেকে-কে নিয়ে ‘কামিয়ে’ নিলেন রূপঙ্কর। হ্যাঁ, কেকে-কে নিয়ে ভিডিও করে; কয়েকশ ডলার কামিয়ে নিলেন গায়ক রুপঙ্কর বাগচি। কেকে-র গান গাওয়া নিয়ে ও তাঁর সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে; সম্প্রতি বাংলার বিখ্যাত গায়ক রূপঙ্কর বাগচী বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন; “কেকে’র থেকে আমরা সবাই ভালো গান গাই; কে, কে, কে, কে, কে, কে? হু ইজ কে ম্যান”?
আর এই নিয়েই শুরু বিতর্ক। একজন গায়ক আরেকজন সঙ্গীত শিল্পীকে; কোনওভাবেই ছোট করতে পারেন না। যেটা রূপঙ্কর করেছেন। সবাই স্বতন্ত্র; প্রত্যেকের নিজস্ব ঘরানা আছে, নিজস্ব স্টাইল আছে। সেটাকেই মূর্খের মত; বুঝতে চাননা রূপঙ্কর।
গোটা বাঙালি জাতটা আজও; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাঙিয়ে খায়। তাঁকে নিয়ে গবেষণা, তাঁর গান, সাহিত্য, ছবি আঁকা নিয়ে রিসার্চ। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কত মানুষ পিএইচডি করে ডক্টরেট পেল; তার ইয়াত্তা নেই। ঠিক তেমন, ‘ভারতের’ কেকে-কে নিয়ে বেশ কয়েকশ ডলার কামিয়ে নিলেন; ‘বাংলার’ গায়ক রূপঙ্কর।
আরও পড়ুন; ইতিহাসে প্রথমবার ভারতের কোন ভাষায় লেখা উপন্যাস পেল বুকার পুরস্কার
বিশ্বাস হচ্ছে না তো? রূপঙ্কর বাগচীর ফেসবুক পেজে যান। যে পোস্টটা কেকে-কে অপমান করতে গিয়ে, পোস্ট করেছেন রূপঙ্কর; সেই পোস্ট-টা ভালো করে দেখুন।
পোস্টে এখন পর্যন্ত Like ৪৯K, Comments ৪০K, ৮.৪K Share; আর সবচেয়ে বড় কথা ৬৪৫K ভিউয়ারস। আর রূপঙ্কর বাগচীর ফেসবুক পেজটা; মনিটাইজ করা আছে। মানে ওনার পোস্ট করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন চলে। বিজ্ঞাপন থেকে আয় হয়। খুলে দেখুন, কেকে-কে ছোট করতে চাওয়ার ভিডিও পোস্টে; কোলগেট সহ আরও অনেককিছুর বিজ্ঞাপন চলছে। এর মানে জানেন?
গোদা বাংলায় মানেটা হল, কেকে-কে নিয়ে এই ভিডিও থেকে রূপঙ্কর বাগচী ফেসবুক থেকে এখনও পর্যন্ত রোজগার করেছেন; কম করেও ২৫০ ডলার, মানে ১৯৫০০ টাকার মত।
কি বুঝলেন? রূপঙ্কর বাগচীর একটা মাচার আয়; তাকে দিয়ে গেলেন কেকে। এখানেই রূপঙ্করের সঙ্গে তফাৎ কেকের; এখানেই গায়কের সঙ্গে তফাৎ পারফর্মারের; এখানেই কিংবদন্তির সঙ্গে তফাৎ সাধারন গায়কের।
“হাম রহে ইয়া না রহে কাল
কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল”, তাই আমৃত্যু কিংবদন্তি পারফর্মার কেকে-কে স্মরণ করবেন; বাংলার গায়ক রূপঙ্কর বাগচি।