ইতিহাসে প্রথমবার ভারতের কোন ভাষায় লেখা উপন্যাস; পেল বুকার পুরস্কার। হিন্দিতে লেখা ‘টুম্ব অব স্যান্ড’ উপন্যাসের জন্য; এই বুকার পুরস্কার পেলেন গীতাঞ্জলি শ্রী। অনুবাদক হিসাবে একই সঙ্গে; পুরস্কৃত হয়েছেন ডেইজি রকওয়েল। ভারতীয় লেখিকা গীতাঞ্জলি শ্রী এবং আমেরিকান অনুবাদক ডেইজি রকওয়েল; বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জিতেছেন ‘টুম্ব অফ স্যান্ড’ উপন্যাসের জন্য। হিন্দিতে লেখা এই উপন্যাসের; কেন্দ্রীয় চরিত্র ৮০ বছরের এক নারী।
ভারত ভাগের ওপর লেখা ‘টোম্ব অব স্যান্ড’ উপন্যাসের জন্য; আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার পেলেন গীতাঞ্জলি শ্রী। এই উপন্যাসে স্বামী মারা যাওয়া, ৮০ বছরের এক নারীর জীবনে; দেশভাগের প্রভাব নিয়ে লিখেছেন লেখিকা। উত্তরপ্রদেশের মনিপুরিতে জন্মগ্রহণ করেন; ৬৪ বছরের লেখিকা গীতাঞ্জলি শ্রী। যুক্তরাজ্য থেকে তার প্রথম প্রকাশিত বই ‘টোম্ব অব স্যান্ড’; ২০১৮ সালে বইটি প্রথমে হিন্দি ভাষায় ‘রেত সমাধি’ নামে প্রকাশিত হয়। তিনটি উপন্যাস ছাড়াও; বেশ কয়েকটি গল্প সংকলন লিখেছেন এই লেখিকা।
প্রাথমিকভাবে উপন্যাসটি হিন্দিতে লেখা; পরে এটি ইংরেজিতে অনুবাদ হয়। ‘রেত সমাধি’ থেকে ‘টুম্ব অব স্যান্ড’। এটি কোনও ভারতীয় ভাষায় লেখা প্রথম বই; যা বুকার পুরস্কার পেল। ৫০ হাজার পাউন্ড এর পুরস্কারমূল্য; গীতাঞ্জলি শ্রী এবং ডেইজি রকওয়েলের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করা হবে।
আরও পড়ুন; টাকার বিনিময়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা, চিদম্বরমের ছেলে কার্তি-কে সিবিআই জেরা
পুরস্কার নির্বাচক দলের অন্যতম সদস্য ফ্র্যাঙ্ক ওয়েন বলেছেন; “এই উপন্যাসটি পড়ে বিচারকরা সকলেই খুবই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন; সকলেই বলেছেন, এটি এক অনবদ্য সৃষ্টি”। কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্রে এক অশীতিপর বিধবা। উপমহাদেশের উত্তাল সময়ে দেশভাগ তাঁর জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে; এবং কীভাবে সেই সব স্মৃতি ভূতের মতো তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়; সেটির গল্পই এই উপন্যাসে বলা হয়েছে।
প্রতি বছর ইংল্যান্ড ও আযারল্যান্ডে; আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার দেওযা হয়। ইংরেজিতে লেখা উপন্যাস বা ইংরেজিতে অনুবাদ উপন্যাসকে; এই প্রতিযোগিতায় রাখা হয়। এর আগে ভারত থেকে অনেকেই; এই পুরস্কার জিতেছেন। সলমন রুশদি, ভিএস নইপাল, অরুন্ধতী রায়, অমিতাভ ঘোষ-সহ; আরও অনেকেই এই পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু ইংরেজি ভাষা বাদ দিয়ে, কোন ভারতীয় ভাষায় লেখা উপন্যাস এই প্রথমবার বুকার পুরস্কার পেল। ভারতের ভাষা জয় করল বিশ্ব।