মাওবাদীদের প্যাকেজ চুরি! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’ ডাক। শুধু বাঁকুড়ার তালডাংরা নয়, ফের ‘মাওবাদী’ পোস্টার উদ্ধার হল ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুরে। বিনপুর থানার আশাকাঁথি মোড়ে; দেওয়ালে চেটানো অবস্থায় পাওয়া যায় পোস্টারগুলিকে। পোস্টারে যোগ্য লোককে প্যাকেজ না দিয়ে; তৃণমূল নেতাদের প্যাকেজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মাওবাদীদের। আরও অভিযোগ, এলাকার গরিব মানুষের টাকা লুঠ করেন তৃণমূল নেতারা; পোস্টারে তাঁদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই অভিযোগ; অস্বীকার করা হয়েছে।
গত ৮ তারিখ মাওবাদী বনধের বিরুদ্ধে প্রচারের অভিযোগে; বিকাশ মাহাত এবং চরন মান্ডি নামে দুই ব্যক্তিকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বারবার এই ধরনের পোস্টার উদ্ধার হওয়ায়; চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, তোমন কিছু-ই নয়। এগুলো সব ভুয়ো পোস্টার বলেও দাবি করেছে প্রশাসন। যদিও রোজ-ই এরকম মাওবাদী পোস্টার উদ্ধারের ঘটনা; বাড়ছে এলাকা জুড়ে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে; মাওবাদী প্রভাবিত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১৫ দিনের জন্য সতর্কতা জারি করেছিল রাজ্য পুলিশ। সেই সতর্কতার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই; গত মঙ্গলবার ফের নতুন করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর সূত্রে; রাজ্যকে আরও একটি আডভাইসারি দেওয়া হয়। সেই আডভাইসারিতে রাজ্যের জঙ্গলমহলের চার জেলায়; নতুন করে সতর্কতা জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে; স্লোগান উঠেছিল ‘খেলা হবে’। সে খেলা শেষে দেখা গিয়েছে; তৃণমূল কংগ্রেস হ্যাটট্রিক করে বাংলার ক্ষমতায় এসেছে। এবার মাওবাদীরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে; খেলবে বলে পোস্টার ফেলেছে জঙ্গলমহলে। তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দেওয়া মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছে; তিন জেলা থেকেই।
ঠিক কী লেখা আছে পোস্টারে? ঝাড়গ্রাম শহর সংলগ্ন মানিকপাড়া এলাকায় যে পোস্টার পড়েছিল, তাতে লেখা ছিল; ‘কিষেণজি অমর রহে, এতদিন তৃণমূল খেলেছে জনগণের সঙ্গে। এবার মাওবাদী খেলবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে’। পোস্টারগুলি তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তারপরেই ঝাড়গ্রামে লোধাশুলি যাওয়ার পথে; জাতীয় সড়কে গুলি চলে। গুলিতে জখম যুবকের কাছ থেকে মোটরবাইক ও টাকা–পয়সা ছিনতাই হয়। গড়বেতা থানার গনগনি-তে মাওবাদীদের পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরে ফের একের পর এক মাওবাদী পোস্টার দেখা দেওয়ায়; আতঙ্কে তৃণমূল নেতারা।