“গো-মূর্খ” উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হচ্ছে রক্তপাত ছাড়া; বাংলায় পুর নির্বাচনেও নজিরবিহীন সন্ত্রাস। কোন কিছু খারাপ ঘটলেই আমরা বিহার-উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ দি। অথচ ভোটের ক্ষেত্রে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ সহ ভারতের বাকি রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়; শুধু বাংলা ছাড়া। শাসক দল ভোট করাবে; এটাই যেন বাংলার নীতি। উত্তর থেকে দক্ষিণ; বাংলার সর্বত্রই অশান্তি ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ।
‘উত্তরপ্রদেশে ভোট হচ্ছে, ভোট হচ্ছে বাংলাতেও; পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচনের লড়াই। কিন্তু নজিরবিহীন রাজনৈতিক হিংসা গ্রাস করেছে বাংলাকে’। বাংলার পৌরসভা নির্বাচন ও উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনা করে; হিংসার অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। পুর-নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ তুলে কোন্নগরের একটি দৃষ্টান্ত দিয়েছেন তিনি। আক্রান্ত কোন্নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য; ষাটোর্ধ্ব প্রার্থীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাঁর পায়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ক্ষত। রক্ত ঝরছে অবিরাম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি; কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি এবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন।
আক্রান্ত প্রার্থীর ভিডিয়ো পোস্ট করে টুইট করেছেন; বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ”উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি বাংলাতেও কাউন্সিলর নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় গণতন্ত্র লুন্ঠিত হচ্ছে; নির্বাচনে রক্ত ঝরছে। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য ভাইস প্রেসিডেন্টের ওপর হামলা চালিয়েছে; অমানবিক অত্যাচার হয়েছে তাঁর ওপর। কৃষ্ণা ভট্টাচার্য তৃণমূলের বহিরাগত তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবারে লড়ছেন”।
এই নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন; উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তিনি বলেন যে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কোনো হিংসার ঘটনা কি ঘটেছে; বাংলায় কী শান্তিপূর্ন নির্বাচন হয়? শেষ নির্বাচনে বাংলায় অশান্তি চরমে ছিল; একের পর এক বুথ দখল হয়েছিল, লোকজনকে মারা হয়েছিল। একই ঘটনা কেরালাতেও ঘটে; উত্তরপ্রদেশে তেমন কোনো ঘটনা নেই।
তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। হেরে যাবার ভয়েই বিরোধীরা আগেই সন্ত্রাস ও ছাপ্পার অভিযোগ তুলছে; দাবি তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন; “সব পুরসভাতেই হারবে বিজেপি; কংগ্রেস-সিপিএমের কোন অস্তিত্বই নেই; তাই সকাল থেকেই বুথ দখল ও ছাপ্পা ভোটের মিথ্যা গল্প ফাঁদছে। বাংলার মানুষ এদের বিশ্বাস করে না; তাঁদের ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই”।