রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে; শুরু হয়ে গেছে যুদ্ধ। ইউক্রেনের একাধিক শহরে; ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে রুশরা। রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ঢুকে পরেছে ইউক্রেনে। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা যাচ্ছে; একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। এদিকে পাল্টা জবাবের দাবি করেছে ইউক্রেন। এরই মাঝে রাশিয়া ইউক্রেনকে পরামর্শ তালিবানের; ‘অস্ত্র ছেড়ে শান্তির বৈঠকে বসুন’। রাশিয়াকে অস্ত্র ফেলে আলোচনায় আসার উপদেশ দিল তালিবানরা।
মাত্র কয়েকমাস আগেই ঠিক একইরকমভাবে; প্রতিবেশি দেশ আফগানিস্তানের উত্তপ্ত চেহারা দেখেছিল গোটা বিশ্ব। আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে তাঁদের সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার পর থেকেই; সেখানকার তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তালিবানরা। দখল করতে শুরু করে; আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ। পরিস্থিতি ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেখানে; দেশ ছেড়ে পালাতে উদ্যোগী হয় অসংখ্য মানুষ। তালিবানি অত্যাচারের ভয়ে যে কোনও উপায়ে; আফগানিস্তান ছাড়তে রাজি ছিল সেখানকার মানুষ। প্রকাশ্যে গুলি-বর্ষণ থেকে শুরু করে বোমা বিস্ফোরণ; এরম একাধিক নির্মম দৃশ্যের সম্মুখীন হতে হয়েছিল আফগানিস্তানবাসীকে। সৌজন্যে অত্যাচারী তালিবান।
সেই তালিবান এখন রাশিয়া-ইউক্রেনকে শান্তির কথা শোনাচ্ছে; যাদের সঙ্গে দূর-দুরান্তে শান্তির কোন সম্পর্ক নেই। রাশিয়াকে শান্তির পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে; আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। একটি বিবৃতি জারি করে; এ কথা জানিয়েছে তারা। অন্যান্য দেশের মত ইউক্রেনেও আটকে রয়েছে; অনেক আফগানিস্তানের পড়ুয়া। তাঁদের নিয়ে রীতিমত চিন্তিত; আফগানিস্তান সরকার। সেই কারণেই রাশিয়াকে হিংসার পথ ছেড়ে; এবার শান্তির পথ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে খোদ আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলে হয়েছে যে; ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে আফগানিস্তান; মানুষের মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত আফগানিস্তান সরকার। এক্ষেত্রে দুপক্ষকেই যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে তালিবান সরকার। কারোরই হিংসার পথ বেছে নেওয়া উচিত নয়। আফগানিস্তান সরকার চাইছে দু দেশই অস্ত্র ফেলে শান্তির পথ বেছে নিক; আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুক।
তবে তালিবানের এই বিবৃতিতে; বিশ্ব জুড়ে হাসির ফোয়ারা ছুটেছে। নেটিজেন-দের মতে হিংস্র-অত্যাচারী তালিবান-রাও; বিশ্ব শান্তির কথা বলছে। তালিবানরা ভুলে গেছে, কয়েকমাস আগেই আফগানিস্তানে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল তারা। এখন লোক হাসাতে নেমেছে সেই তালিবানরাই।