শুক্রবার ভাটপাড়ার অশান্ত পরিবেশ; ঘুরে দেখল তৃণমূলের একটি পরিষদীয় দল। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে; ওই পরিষদীয় দলে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসুরা। দুপুর নাগাদ বিধানসভা থেকে একযোগে; ভাটপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন তৃণমূল বিধায়কেরা। দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁরা ভাটপাড়ায় পৌঁছান; তারপর উপদ্রুত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন।
দুপুর তিনটে নাগাদ তৃণমূল পরিষদীয় দল; ভাটপাড়ায় পৌঁছান। তারপর তাঁরা এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। এলাকায় শান্তি মিছিল করে তৃণমূল। বারাকপুরে সিপির সঙ্গেও দেখা করে পরিষদীয় দল। এর আগেই বিজেপির একটি সংসদীয় দল; ভাটপাড়া পরিদর্শন করে।
আরও পড়ুনঃ আসগর শেখকে জয় শ্রী রাম বলিয়ে গ্রেফতার আপসি মিঞা
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই; লাগাতার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে; উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া এলাকা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে; ব্যারাকপুর লোকসভায় দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে সংসদে গিয়েছেন অর্জুন সিং। তাঁর ছেড়ে আসা ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে; তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে হারিয়ে; ছেলে পবনকেও জিতিয়ে এনেছেন অর্জুন।
আরও পড়ুনঃ আরও পড়ুনঃ বছরে কত টাকা কাটমানি তোলেন তৃণমূল নেতারা, হিসাব দেখে চমকে যাবেন মুকেশ আম্বানিও
এরপর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষে; দিনের পর দিন উত্তাল হয়ে রয়েছে ওই শিল্পাঞ্চল। দুই পক্ষের একাধিক রাজনৈতিক কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। বোমাবাজির মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন; সাধারণ মানুষও। গোলমালের জেরে একটানা কয়েকদিন; ওই এলাকায় বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবাও।
আরও পড়ুনঃ ফের কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে; অভিযোগ এবার খোদ দলীয় নেতার
ভাটপাড়া পরিদর্শন করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন; “ওই এলাকায় বিজেপি পরিকল্পিতভাবে গোলমাল জিইয়ে রাখতে চাইছে। আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। আমরা ফিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেব”। এই এলাকাতেই কিছুদিন আগে; মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন একদল বিজেপি কর্মী। সেই স্লোগান শুনে উত্তেজিত হয়ে; গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলেন মমতা।
তৃণমূল নেতাদের সফর প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ অর্জুনের কটাক্ষ; “ওঁদের সরকারের পুলিশ; বিজেপি কর্মীদের বুকে গুলি চালাচ্ছে। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিলে মার খেতে হচ্ছে। তৃণমুূলের দুষ্কৃতীরা প্রতিদিন বোমাবাজি করছে। এই অবস্থায় সুব্রতবাবুরা অশান্তি বাড়াতেই এসেছিলেন”।