শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হল; কাশ্মীরি ‘জেহাদি’ যুবক সাহিল আব্বাস। কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের জওয়ান; শহিদ সুনিল কালিতা ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে; ফেসবুকে অপমানজনক মন্তব্য করে সাহিল আব্বাস। তার পরেই উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। পুলিশে জমা পরে অভিযোগ।
এফআইআরের ভিত্তিতে কামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার; মো কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল যায় কাশ্মীরে। কামরূপ পুলিশ; তাকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে এবং আসামে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাশ্মীর সফর, সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে নিকেশ দুই জঙ্গি
সাহিলকে দিল্লি থেকে ফ্লাইটে করে; মঙ্গলবার রাতে গুয়াহাটিতে আনা হয়েছে। এরপর তাকে রাঙ্গিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়; প্রাথমিক চিকিৎসা করার জন্য। বুধবার সাহিলকে আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক আটকে দিল বিজেপি বিরোধী পোস্ট, রাজ্যসভায় তুমুল বিতর্কে ডেরেক ও’ব্রায়ান
আসামের কামরূপ গ্রামের রাঙ্গিয়া এলাকার সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স জওয়ান; সুনিল কালিতা মাওবাদী হামলায় গুরুতর জখম হন। ১৩ই জুন নিউ দিল্লীর এআইএমএসে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যু ঘিরেই এক পোস্টে; তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল মন্তব্য করে কাশ্মীরের ওই যুবক।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি কেলেঙ্কারি, মমতাও সৎ নন ইঙ্গিত কাটমানি নিয়ে ফ্যাসাদে তৃণমূল নেত্রীর
ভারতীয় জনতা পার্টির কামালপুর বিভাগের সাহায্যে; সাহিল আব্বাসের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন শহিদ সুনিল কালিতার স্ত্রী। ঘটনার প্রায় ১০ দিনের মাথায় গ্রেফতার হল; এই কাশ্মীরি ‘জেহাদি’ যুবক। তার ফেসবুক ও অন্যান্য লেখা থেকে; জেহাদি ভাবমূর্তির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ যে রাস্তায় নামাজ; সে রাস্তাতেই হনুমান চালিশা
কাশ্মীর থেকে ফিরে আসামের তদন্তকারী দলটি জানায়; কাশ্মীরের স্থানীয় পুলিশ থেকে তাদের কোনো রকম সহায়তা করা হয়নি। এটি কেবলমাত্র সিআরপিএফের সহায়তায়; তারা সাহিল আব্বাসকে গ্রেপ্তার করতে এবং আসামে আনতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে শহিদ সুনিল কালিতা ও তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল মন্তব্য করায়; সাহিল আব্বাসের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির বিধান চেয়ে রাস্তায় নেমেছে আসামের সাধারণ মানুষ। আমজনতার দাবী, ভারতীয় সেনার এক শহিদের বিরুদ্ধে; তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এত খারাপ কমেন্ট করার সাহস হয় কি করে? এই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় আসামের বাসিন্দারা।