জুনিয়ার ডাক্তারদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হুমকির; তীব্র নিন্দা করল ডাক্তারদের সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস। শুক্রবার থেকে এনআরএস হাসপাতালে; জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে বসবেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। এমন সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়েছে; বৃহস্পতিবার ডাক্তারদের সাংগঠনিক বৈঠকে।
চিকিৎসকদের সংগঠনসমূহের যৌথ মঞ্চের; বৃহস্পতিবার জরুরী মিটিংয়ে গৃহীত হয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কি কি সিদ্ধান্ত নিলেন সিনিয়ার ডাক্তাররা? জেনে নিন একনজরে। ডাক্তারদের সংগঠনের সিদ্ধান্তঃ
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত ডাক্তারদের
এক; জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকছে আমাদের। তাদের কাছে শুধু একটাই আবেদন; সব হাসপাতালে জরুরী বিভাগ চালু রাখা। জরুরী বিভাগের চিকিৎসায় কোন বাধা না দেওয়া।
দুই; মুখ্যমন্ত্রীর স্ট্যান্ডের সর্বৈব বিরোধিতা করছি; ডাক্তারদের হুমকি দেওয়ার তীব্র নিন্দা করছি। মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় জুনিয়ার ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন; তা একেবারেই নিন্দা যোগ্য।
তিন; শুক্রবারের কর্মসূচী, ‘পাশে আছি’। শুক্রবার সকাল এগারোটা থেকে; এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে; অবস্থানে বসছি সব সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাশে আমরা আছি।
চার; শুক্রবার দুপুর সোওয়া একটা নাগাদ; রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান। ডাক্তারদের নিরাপত্তার উপর জোর; দিতেই হবে রাজ্য প্রশাসনকে।
পাঁচ; শুক্রবার বিকাল পাঁচটায় এনআরএস হাসপাতাল থেকে; চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী ও গণতান্ত্রিক মানুষের মহামিছিল শুরু হবে। মিছিল পুরো এনআরএস হাসপাতাল চত্বর; প্রতিবাদ মিছিল করা হবে।
আরও পড়ুনঃ মমতার হুশিয়ারির পরে, পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উপর ফের বহিরাগত হামলা
শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সিদ্ধান্ত; এদিনের বৈঠকে গৃহীত হয়, তা হল; এরপর কোন মেডিক্যাল কলেজে একজন জুনিয়র ডাক্তারের গায়ে; যদি একটি আঁচড়ও পরে, গুন্ডা বা পুলিশ যার দ্বারাই হোক, সারা রাজ্যের সরকারী ও বেসরকারী উভয় ক্ষেত্রে; তৎক্ষনাৎ অনির্দিষ্ট কালের জন্য চিকিৎসক ধর্মঘট শুরু হবে। এবং তার দায়িত্ব বর্তাবে সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের উপর।
এ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস এর জয়েন্ট সেক্রেটারি; ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী জানান, তাঁরা সম্পূর্ণ ভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে আছেন। ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে কোন আপোষ করবে না ডাক্তারদের সংগঠন। ডাক্তারদের সংগঠনের এই সিদ্ধান্তের পর; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে চাপ আরও বাড়ল; সেটা বলাই যায়।