ভয়াবহ খরার প্রকোপে বাড়ছে খাবারহীন মৃত্যুযন্ত্রণা

610
ভয়াবহ খরায় প্রকপে বাড়ছে খাদ্যসহ মৃত্যু যন্ত্রণা /The News বাংলা
ভয়াবহ খরায় প্রকপে বাড়ছে খাদ্যসহ মৃত্যু যন্ত্রণা /The News বাংলা
- Advertisement -

ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে; জলের খোঁজে হাজার হাজার মানুষ অন্যত্র চলে যাওয়ায় জনশূন্য হতে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলের শত শত গ্রাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে; বিশেষত দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া সূত্রে রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা; রাজস্থানে ৫০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের তুলনায় অধিক। আর এটাই খরার প্রধান কারণ।

আরও পড়ুন জেহাদি শক্তির আক্রমনের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অস্তিত্বরক্ষার দাবিতে মিছিল

- Advertisement -

বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই থেকে প্রায় ২৫০ মাইল দক্ষিণে ব্যাপক জলশূন্যতায় প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দা নিজেদের বসতি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এদিকে বিভিন্ন সূত্র বলছে; মহারাষ্ট্রের ২০ মাইল দূরবর্তী অঞ্চলের হাতকারওয়াদি নামক গ্রামটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে; ১০-১৫টি পরিবার ছাড়া প্রায় দু হাজার বাসিন্দা হয়েছে ঘরছাড়া।

আরও পড়ুন গণ ইস্তফা দিতে শুরু করলেন এনআরএস হাসপাতালের ডাক্তাররাও

পঙ্গু হতে চলেছে কৃষিভিত্তিক জীবিকা; ফসলের অভাবে মারা যাচ্ছে অজস্র গবাদি পশু। অভূতপূর্ব চলমান খরায় আক্রান্ত অঞ্চলগুলোয় ভুট্টা; সয়া; তুলা; মিষ্টি চুন; ডাল ও বাদামের মতো প্রধান অর্থকরী ফসলগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন বিলুপ্তির আশঙ্কায় অন্তত ১০ লাখ প্রাণী ও বৃক্ষ প্রজাতি

সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন; বিশ্বের সর্বত্র এল নিনো নামের এক ধরনের শুষ্ক আবহাওয়া ও চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব দিনে দিনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তীব্র হচ্ছে; ভারত এই জলবায়ুর অন্যতম শিকার বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত ডাক্তারদের

ভারতের মারাঠওয়াদা সবচেয়ে খরাপ্রবণ অঞ্চল; ক্রমবর্ধমান খরার কারণে গত পাঁচ বছরে এ অঞ্চলে ৪ হাজার ৭০০-এর বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন; এর মধ্যে গত বছরই আত্মহত্যা করেছেন ৯৪৭ কৃষক। রান্নাবান্না-কাপড় কাচা-পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এমনকি পয়োনিষ্কাশনের জন্যও জলাভাব এ অঞ্চলে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে; তাপমাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে বলে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। আগামীতে দেশ এসব প্রতিকূল আবহাওয়ার; আরও বেশি মুখোমুখি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলাভাব কমাতে চৌকস সমাধান বের করার জন্য; সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ করা হয়েছে।

- Advertisement -