বিজেপির বিজয় মিছিলে হামলা তৃণমূলের; ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ২ জন বিজেপি সমর্থক। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের; ধবনী গ্রামের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের এসিপি; আশীষ বিলান এর নেতৃত্বে লাউদোহা থানার পুলিশ এবং র্যাফ। চলছে পুলিশি রোড মার্চ ও পুলিশ পিকেটিং।
বিজেপির বিজয় মিছিলে তৃণমূলের হামলার ঘটনায়; গুলিবিদ্ধ বিজেপি সমর্থক কাজল হাজরা এবং মাধব বাগদী। অভিযোগ ওই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে আক্রান্ত হয়ে; গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বিমল টুডু এবং সুনীল হেমরম নামে দুই বিজেপি কর্মী।
আক্রমণের ঘটনায় প্রায় ১৫জন বিজেপি সমর্থক আহত হয়েছে; বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। বিজেপির বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ধবনী, বড়গড়িয়া এবং খাটগড়িয়া গ্রামের বিজেপি সমর্থকরা বিজয় মিছিল করার জন্য উপস্থিত হয় ধবনী মোড়ে।
অভিযোগ, সে সময় ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুজিত মুখার্জির নেতৃত্বে; পাঁচটি বোলেরো গাড়ি এবং কয়েকটি বাইকে করে; বেশকিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী উপস্থিত হয়। বিজেপির বিজয় মিছিল করা যাবে না; বলে জানানো হয় তৃণমূলের তরফ থেকে। এরপরেই শুরু হয় ঝামেলা; চলে গুলি।
গুলিবিদ্ধ কাজল হাজরার স্ত্রী মালতি হাজরা বলেন; লোকসভা ভোটে বিজেপি ভালো ফল করার পর থেকেই; শুরু হয়েছে তৃণমূলের অত্যাচার। তাঁর অভিযোগ, এই বিজয় মিছিল বের করতে বাধা দিয়েছিল তৃণমূল। আর সেই বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করাতেই আমার স্বামীকে গুলি করা হয়েছে।
বিজেপির আসানসোল জেলা সেক্রেটারি জিতেন চ্যাটার্জী বলেন; তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জির নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। পুলিশের অনুমতি নিয়ে; বিজয় মিছিল করা হয়েছিল। কিন্তু মিছিলের লোকসমাগম বেশি হওয়ায়; তৃণমূল ভয় পেয়ে যায়। সশস্ত্র অবস্থায় আমাদের নিরস্ত্র কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে ঘটনার জন্য; বিজেপিকে দায়ী করা হয়। ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি; সুজিত মুখার্জী জানান; “লোকসভা ভোটে ভালো ফল করার পর; বিজেপি সমর্থকরা এলাকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে”। তাঁর অভিযোগ; “পুলিশের অনুমতি ছাড়াই বিজয় মিছিল হচ্ছিল। সেই সময় আমাদের স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় মুখার্জীকে আক্রমণ করা হয়। এরপরেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা; বিজেপির ওপর চড়াও হয়”।