কলকাতায় বিজেপি কর্মীদের মৃতদেহ সৎকারে বাধা পুলিশের; রাস্তাতেই চিতা সাজালেন বিজেপি কর্মীরা। ঘণ্টা দুই পরে অবশ্য মৃতদেহ ফিরে গেল; সেই সন্দেশখালিতেই। পুলিশ বিজেপি সমর্থকদের ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত মিনাখা এলাকা।
সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। গতকাল শনিবার তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে নিহত হয়; বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে; হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে সারাদিন রাজ্যজুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে।
আরও পড়ুনঃ আলিগড়ের পর এবার বারাণসী, দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ধৃত শাহনওয়াজ
একদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে; মৃতদের বাড়ির পরিজনেরা বিজেপি নেতৃত্বের সাথে দেহ সৎকারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় কলকাতায়। নিমতলা মহাশ্মশানে দুই বিজেপি কর্মীর দেহের; শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু দেহ নিয়ে রওয়ানা হতেই; দফায় দফায় শববাহী গাড়ি সহ বিজেপি নেতৃত্বের গাড়ি আটকে দেয়।
বিজেপি নেতৃত্বের সাথে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, লকেট চ্যাটার্জি, দুলাল বর, শান্তনু ঠাকুর প্রমুখ। বিকেলেই বিজেপি নেতাদের নেতৃত্বে; মৃতদের পরিজনকে নিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় শববাহী গাড়ি।
কিন্তু প্রথমেই মালঞ্চ মোড়ের কাছে আটকে দেওয়া হয়; বিজেপি নেতৃত্বের কনভয়। পুলিশের সাথে তুমুল বাদানুবাদের পর বিজেপি সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের ব্যারিকেড অতিক্রম করেই; বিজেপি নেতাদের কনভয় এগিয়ে যেতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা হবে, শ্রীলঙ্কাকেও সাহায্যের আশ্বাস মোদীর
এরপরেই মিনাখাঁ মোড়ে পুনরায় আটকে দেওয়া হয়; বিজেপির কনভয় সহ শববাহী গাড়ি। পুলিশের গাড়ি রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে; ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। এদিকে অসংখ্য বিজেপি কর্মী এবং পুলিশের ভিড় বাড়তে থাকে। তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে; সেই অজুহাতে গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।
এরপরেই রাস্তার ওপরেই চিতা সাজিয়ে; মৃতদেহ সৎকারের প্রস্তুতি শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। এদিকে ঘন্টাখানেক মৃতদেহ আটকে থাকার পর; বাড়ির লোকেরা অসুস্থতা অনুভব করায় সন্দেশখালিতেই; মৃতদেহ সৎকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে আগামীকাল সোমবার ১২ ঘন্টার বসিরহাট বনধ ডেকেছে বিজেপি এবং রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা; আগামী ১২ তারিখ লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছেন।