আলিগড়ে আড়াই বছরের শিশুকন্যা টুইঙ্কেল শর্মাকে; নৃশংস ভাবে হত্যার জন্য ক্ষোভে ফুঁসছে সারা দেশ। সেই ক্ষোভের আগুন না নিভতেই; আবারও নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। জামাকাপড় দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ৯ বছরের দলিত নাবালিকাকে; ধর্ষণ করল শাহনওয়াজ নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারানসীর; কোতওয়ালি থানার অন্তর্গত রাজমন্দির এলাকায়।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে; বারানসীর বাসিন্দা শাহনওয়াজ নামের ওই যুবক আক্রান্ত দলিত নাবালিকাকে; কাপড় দেওয়ার অছিলায় নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে যেতেই ওই নাবালিকাকে; ভেতরের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর ক্রন্দনরত অবস্থায় থাকা মেয়েটিকে; বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়ে আসে অভিযুক্ত যুবক। এরপর আক্রান্ত নাবালিকা বাড়িতে ফিরে এসেই; পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। তৎক্ষনাৎ নাবালিকার বাড়ির লোকজন এসে; অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে; ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ও ৫১১ নং ধারা সহ তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইনের ৩২৫ নং এবং পসকো আইনের ৭/৮ নং ধারায় মামলা শুরু করেছে। ইন্সপেক্টর শরদ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন; অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরার পরেই আক্রান্ত নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত সপ্তাহেই আলিগড়ে আড়াই বছরের শিশু কন্যা টুইঙ্কেলের; হত্যার ভয়াবহতা দেশে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। টুইঙ্কেলের বাবা ১০ হাজার টাকা ধার নিয়ে,শোধ করতে পারেনি। তার খেসারত দিতে হয় ছোট্ট মেয়েটিকে। নৃশংসভাবে টুইঙ্কেলকে হত্যা করে জাহিদ ও আসলাম নামে দুই যুবক।
পোষ্টমার্টম রিপোর্টে জানা গিয়েছে; টুইঙ্কলকে হত্যা করে তার কিডনি বের করে; তার মুখে এ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত দুই যুবক। এর সাথে প্রমান লোপাটের জন্য যোনি টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়; কেটে দেওয়া হয় দুই হাত, চোখ দুটো ধারালো অস্ত্র দিয়ে বের করে নেওয়া হয়। হাতের নখ তোলা থেকে মাথার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া সারা শরীরে রয়েছে অসংখ্যা আঘাতের চিহ্ন। এই ঘটনার ক্ষত না শুকোতেই আবারও নাবালিকা ধর্ষনের পুনরাবৃত্তি ঘটল।
দেশে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা যেভাবে বাড়ছে; তাতে উদ্বেগে সব রাজ্য প্রশাসন। আসিফা, টুইঙ্কল এর পর এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ধর্ম নিয়ে বাদানুবাদও।