সাত দফার ভোটযুদ্ধের পর; ২৩শে মে, ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। যুদ্ধে বিভিন্ন রথী মহারথীদের মধ্যে ছিলেন টলি তারকারাও; আর ফলাফল ঘোষণা হতেই দিল্লিতে সংসদ ভবনে পদার্পণ করলেন তারা। গনতন্ত্রের মন্দির বলে পরিচিত; সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে যথেচ্ছ ছবিও তুললেন তারা; সেই ছবি পোস্টও করলেন স্যোশাল মিডিয়ায়।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের; কয়েকটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিভিন্ন জগতের তারকা প্রার্থীরা। এদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয় জগতের মিমি চক্রবর্তী; নুসরত জাহান; দীপক অধিকারী(দেব); মুনমুন সেন; লকেট চ্যাটার্জি এবং গায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন; বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র কাছে হেরে গেলেও; বাকি সকলেই ভোটযুদ্ধের বৈতরণী পার করেছেন। এদের মধ্যে তৃণমূলের ঘাটালের প্রার্থী দেব এবং বিজেপির আসানসোলের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় গতবারের সাংসদ।
অন্যদিকে এবারেই প্রথম লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে; সংসদে পা রাখলেন তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী; নুসরাত জাহান এবং বিজেপির লকেট চ্যাটার্জি। সংসদ ভবনে পা রেখেই সংসদ ভবনের সামনে থেকে; নিজেদের ছবি তুলে এই তিন তারকাই স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন।
মিমি চক্রবর্তী যাদবপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন; ভোট প্রচারের প্রথম থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচনার সম্মুখীন হন মিমি চক্রবর্তী; তবে সমস্ত সমালোচনাকে দূরে সরিয়ে সফলভাবে সংসদে পদার্পণ করলেন তিনি।
অন্যদিকে; বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে হারিয়ে; লক্ষাধিক ভোটে জিতে সংসদে পা রেখেছেন নুসরাত জাহান। মিমি আর নুসরত এই দুজন ছাড়াও বিজেপির তরফে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে; তৃণমূলের দাপুটে ও প্রভাবশালী প্রার্থী রত্না দে নাগকে হারিয়ে সংসদে পৌঁছেছেন লকেট চ্যাটার্জি।
মিমি বা নুসরাতের মতই অভিনয় জগৎ থেকে রাজনীতিতে পা রাখলেও; বিগত কয়েক বছর লকেট রাজনীতির লড়াইয়ে রয়েছেন। প্রথমে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা থাকলেও নারী সুরক্ষার প্রশ্ন তুলে; তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর কেন্দ্রে; লড়াই করেও পরাজিত হন তিনি। এবার সেই লড়াইয়ে ভর করেই; সংসদে প্রথমবার পা রাখলেন লকেট।
তবে সবাই কি ২০১৪ র মুনমুন সেন আর সন্ধ্যা রায়ের মত; অকার্যকরী হবেন? সেটাই এখন আশঙ্কা বাঙালীর। আর প্রথমেই সংসদে ছবি দেখে সেই আশঙ্কা আরও দৃঢ় হচ্ছে।