ভোট শুরুর লগ্ন থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমেই রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল; কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা যাতে রাজ্যে দফায় দফায় এসে প্রচার চালাতে পারে; সেজন্যই মোট ৭ দফায় এই রাজ্যের নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়।
আরও পড়ুন নির্বাচন কমিশনের তোপে পড়ার আশঙ্কা, মমতার কাছে যাচ্ছেন না আমলারা
এই ৭ দফা নির্বাচনের শেষের ৩ দফা রমজান মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের বক্তব্য; মুসলিম সম্প্রদায়কে ভোটদানে বিরত রাখতেই রমজান মাসে ভোটের দিন ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহার কি হাতছাড়া তৃণমূলের, মন্ত্রীর ফেসবুক পোস্টে বাড়ল জল্পনা
এদিকে ভোট মিটে যেতেই ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। কমিশনের নজরদারি এড়িয়ে কেন্দ্র সরকার ইভিএম বলদে ফেলতে পারে বলে বারবার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তৃণমূল। এর আগে ইভিএম মেশিনের বদলে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহনের প্রস্তাব রেখেছিল বিজেপি বিরোধী দলগুলি। কিন্তু এসব দাবিই নস্যাৎ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ফল দেখেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তৃণমূলের দুই সাংসদ
এবার তাই ইভিএম হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী নতুন কবিতা লিখে ট্যুইট করলেন। কবিতার নাম দিলেন “জরুরী”। দেখে নিন সেই কবিতাটি।
জরুরী
সবটাই জরুরী-
কিছু কথা ছিল,
ওটাও জরুরী।
মধ্য রাতে সিদ্ধান্ত-
ওটাও জরুরী।
ভিলেনের মাঠে এ খেলা-
তাতেও জরুরী।
বিচারে বিধ্বস্ত-
ওটাও জরুরী।
গণতন্ত্র গুহায়-
ওটাও জরুরী।
প্রতিবাদ করবে?
না হুজুর-জরুরী।
মাথা খুটে কাঁদো
অশ্রুতেও জরুরী।
কি দেখলে নির্বাচন?
নির্বাসনও কি জরুরী?
শেষ দফা নির্বাচনের আগের দিন; আরও একটি কবিতা নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘চেনা নয়’ নামের সেই কবিতাতেও মুখ্যমন্ত্রী ভোটের মধ্যে সন্ত্রাস; দাঙ্গা অঢেল টাকা উড়ে বেড়ানো নিয়ে লেখেন।
আরও পড়ুন সাট্টা বাজারের রিপোর্টেও গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত
ওই দিনেই ‘অবিশ্বাস্য কালো’ নামক আরও একটি কবিতায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন; সমাজের মধ্যে ইদানিং দাঙ্গা বৃদ্ধি; অহং বেড়ে যাবার কথা। স্বৈরাচারীদের ফন্দি; মিথ্যাচারী স্বভাব; গর্ধ শক্তি কলঙ্কিত ব্রেন এবং শেষে কালো অধ্যায়ের অবসানে ভোরের আশা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।