রবিবার শেষ দফায় ভোটে বাংলায়; কলকাতা ও সন্নিহিত এলাকায় ভোট। ভোট যাদবপুরেও। আর তার আগেই, বুধবার সকালেই ভাঙড়ে ঢুকল ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল সকাল রূট মার্চ ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা সহ; পাওয়ার গ্রীড এলাকায়।
বহিরাগত দুষ্কৃতীরা জড় হয়েছে ভাঙড়ে; এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশনের কাছে। তাই রবিবার ভোটের অনেক আগেই; ভাঙড়ে ঢুকল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন পাওয়ার গ্রীড এলাকায় রুট মাচের পাশাপাশি; সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন; আধা সামরিক বাহিনীর অফিসাররা।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদীর জয়ের ভবিষ্যৎবানী করে বরখাস্ত কলেজ অধ্যাপক
আশ্বাস দেন শান্তিতে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আমজনতাকে; ভোট দেওয়ার এবং ভোট দিতে যাওয়ার সমস্যা হলে; জানানোর কথা বলেছেন ভাঙড়ের সাধারণ মানুষকে। বুধবার সকালে কাশিপুর থানার অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে; ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রীড এলাকা শ্যামনগর, খামারআইট, মাছি ভাঙা এলাকায়; রুট মার্চ করলেন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা।
আরও পড়ুনঃ অমিত শাহ এর রোড শো ঘিরে রণক্ষেত্র কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর; ভাঙড় বিধানসভার কাশীপুর, ভাঙড় ও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা মিলিয়ে; ১৮ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে ভাঙড়ে। ভাঙড় ১ নং ব্লকের ৩টি ও ভাঙড় ২ নং ব্লকের ১০টি; গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ২৭৭ টি।
আরও পড়ুনঃ অমিত শাহর পর যোগী আদিত্যনাথের সভায় নিষেধাজ্ঞা রাজ্যের
যার মধ্যে আবার ১১১টি বুথকে; স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর হিসাবে ধরা হয়েছে। ৫টি মহিলা পরিচালিত বুথ ও ২৫টি ওয়েব কাস্টিং বুথও থাকছে। মোট ১৬০টি ভোট গ্রহন কেন্দ্র ও ১০ টি কুইক রেসপন্স টিম মিলিয়ে; প্রায় আঠারশো সেনা জওয়ান; ভোটের দিন ভাঙড়ে মোতায়েন থাকবেন। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ অমিত শাহ এর রোড শো ঘিরে গেরুয়া সমুদ্রে ভাসল উত্তর ও মধ্য কলকাতা
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর; ভাঙড়ে মোট ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৫৬ জন ভোটার আছেন। যাঁদের মধ্যে ৩২৩৭ জন ভোটার বিশেষ ভাবে সক্ষম। সবমিলিয়ে আড়াই লক্ষ ভোটার; যাতে সুষ্ট ও অবাধ মতদান করতে পারেন তাঁর জন্য; বিতর্কিত ভাঙড়ে অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।