The News বাংলা, কলকাতাঃ ‘তিনি তাঁকে পছন্দ করেন, তাঁর সব ইচ্ছে তিনি পূরণ করবেন’—এমন কথা প্রেম নিবেদনেই বেশি মানায়। যে কথাটি যায় না বলা তাকে, সে কথাটি মনের মানুষকে আরেকজনের মাধ্যমে বলা হয়। আর এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুনঃ খিদের জ্বালায় কান্না ভুলেছে ৫০ লাখ শিশু
কি বলা যায়, ব্যতিক্রমী ট্রাম্প। ‘তিনি তাঁকে পছন্দ করেন, তাঁর সব ইচ্ছে তিনি পূরণ করবেন’। ‘শত্রু’ বলে বিবেচিত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনকে এই কথাই জানাতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জন্য ভায়া হিসেবে বেছে নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জো-ইনকে। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর ট্রাম্প-কিমের ‘প্রায় অবিশ্বাস্য’ এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র বৈঠকটি মুন জো-ইনের মধ্যস্থতায় হয়েছিল বলেই হয়তো বার্তা পৌঁছানোর জন্য তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন ট্রাম্প।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর গত সোমবার নিউজিল্যান্ড যাওয়ার পথে বিমানে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জো-ইন। নিউজিল্যান্ডে তিন দিনের সফরে গেছেন তিনি। জি-২০ সম্মেলনের সময় ট্রাম্প তাঁকে এ কথা বলেছেন, বলে জানান প্রেসিডেন্ট মুন জো-ইন।
আরও পড়ুনঃ জনগণকে ‘গাধা’ বানিয়ে ‘শিক্ষাগুরু নেহেরু’র যোগ্য ছাত্র সব রাজনীতিবিদ
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের প্রথমবারের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সফরের কথা রয়েছে। ওই সময় দুই নেতার বৈঠকে ট্রাম্প তাঁর বার্তাটি পৌঁছে দিতে বলেছেন। মুন বলেন বার্তাটি হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ারম্যান কিমের প্রতি অনুকূল মনোভাব রয়েছে এবং তিনি তাঁকে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুনঃ ‘গরু তাণ্ডবে’ যোগীর পুলিশের খাতায় বিজেপি-বজরং-ভিএইচপি নেতার নাম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জো-ইন আরও বলেন,’যেমন তিনি (ট্রাম্প) আমাকে বলেছেন চেয়ারম্যান কিমকে জানাতে যে তাঁদের চুক্তির বাকি বিষয়গুলো একসঙ্গে তিনি (ট্রাম্প) বাস্তবায়ন করতে চান এবং তিনি চেয়ারম্যান কিমের ইচ্ছেগুলো পূরণ করবেন।’ আর এতেই অবাক পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞরা। হতবাক সাংবাদিকরাও।
ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল গত জুন মাসে সিঙ্গাপুরে। এদিকে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া শেষে রবিবার দেশে ফেরার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর সঙ্গে কিমের দ্বিতীয় বৈঠক হতে পারে। এর জন্য তিনটি জায়গা বিবেচনায় আছে। কিমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেক ভালো বলে তিনি জানান। তিনি কিমকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আমন্ত্রণ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ একদিকে মোদীর সমালোচনা অন্যদিকে অনুসরণ, মমতার ‘নিজশ্রী’
কিম ও ট্রাম্পের প্রথম বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে তাঁরা কাজ করবেন বলে চুক্তি করেন। তবে নির্ধারিত সময়ে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে খুব কমই অগ্রগতি হয়েছে।
ট্রাম্প বারবার কিমের সঙ্গে তাঁর ভালো ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা বলে চলেছেন। ১৯৫০ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যা এড়িয়ে গেছেন, এই বন্ধুত্ব তাঁকে কূটনৈতিকভাবে বিরাট সফলতা এনে দিতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। ট্রাম্প ও কিমের বাদানুবাদের কথা গোটা বিশ্ব জানে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর ভালবাসার কথায় অবাক সবাই।