The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ কলকাতার পর এবার শিলিগুড়িতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ‘আসছে আবার শবর’ দেখিয়ে শুরু হলো শিলিগুড়ি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বাংলা সিনেমার শতবর্ষকে সামনে রেখে শুরু হলো এই চলচ্চিত্র উৎসব।
বাংলা সিনেমার শতবর্ষকে থিম করে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের পরপরই শিলিগুড়িতে শুরু হলো উনিশতম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সোমবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সুচনা হয় শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চের রামকিঙ্কর প্রেক্ষাগৃহে। প্রথমদিন উদ্বোধনের পর বাংলা ছায়াছবি ‘আসছে আবার শবর’ দিয়ে শুরু হয় চলচ্চিত্র উৎসব।
‘আসছে আবার শবর’ সিনেমার পরিচালক অরিন্দম শীল ও অভিনেত্রী তুহিনা দাস উৎসবের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে সঙ্গে ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, বাংলাদেশের জুরি তসমিয়া আফরিন, সাদিয়া খাতুন ও কলকাতার জুড়ি শঙ্খ্যজিৎ বিশ্বাস ও সিনে সোসাইটির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার প্রায় দর্শক শূন্য আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
এবারের শিলিগুড়ি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলা সিনেমার শতবর্ষকে পাথেয় করে মোট ছয়টি বাংলা ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলা সিনেমার শতবর্ষের পাশাপাশি বিশ্ব বিখ্যাত পরিচালক বার্গম্যানেরও শতবর্ষকে সম্মান জানিয়ে বার্গ ম্যানের একটি ছবিকেও এই চলচ্চিত্র উৎসবে সামিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘পুলিশ হত্যা মামলা’তেও বাংলার পুলিশের মুখে চুনকালি
শিলিগুড়ির সিনে সোসাইটির ২৪তম বছরে শিলিগুড়িতে তাদের উদ্যোগে আয়োজিত হল উনিশতম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সিনে সোসাইটির সম্পাদক প্রদীপ নাগ জানান, যে সমস্ত সিনেমাগুলি সাধারনত প্রেক্ষাগৃহে কোনো কারনে প্রদর্শিত হয়নি অথচ উচু মানের ছবি, দেশী বিদেশী সেই সমস্ত ছায়াছবি নিয়েই এবারের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
২০তারিখ থেকে ২৬তারিখ পর্যন্ত শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চের রামকিঙ্কর হলে শনি ও রবিবার বাদ দিয়ে দুটো করে সিনেমা দেখানো হবে। শনি ও রবিবার দেখান হবে তিনটে করে সিনেমা। এখানে ১০ টি দেশের মোট ১৭ টি সিনেমা দেখানো হবে। বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার বার্গম্যানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্মরনে তার পরিচালনায় সুইডেনের ছবি “সাইলেন্ট” দেখান হবে ২০তারিখ।
আরও পড়ুনঃ ডিসেম্বরেই মোদী বিরোধী মহাজোট, নবান্নে জানালেন মমতা চন্দ্রবাবু
এ বছর নেপালের দুটো ছবি দেখানো হচ্ছে। তার মধ্যে একটি হল ‘ময়না’ ও অন্যটি হল ‘কে-টু। এই ‘কে-টু’ সিনেমাটি রাখার উদ্দেশ্য হিসেবে আয়োজকদের বক্তব্য,বর্তমানে এমন প্রচুর মানুষ আছেন যারা অ্যাডভেঞ্চার ভীষন পছন্দ করেন। পাহাড়ের বিভিন্ন শৃঙ্গে ভ্রমন করার জন্য উৎসাহিত করার জন্যই বিশেষ করে এই ছবিটিকে রাখা হয়েছে। স্কুল ও কলেজের ছেলেমেয়েরা যাতে ছবিটি দেখে উৎসাহিত হবার সুযোগ পায় সে কারনে রবিবার বেলা ১টার সময় ছবিটিকে রাখা হয়েছে।
গোটা চলচ্চিত্র উৎসবে বিদেশী প্রচুর ছবি থাকলেও হিন্দি ভাষার ছবি রাখা হয়েছে মাত্র দুইটি। বাংলা ও হিন্দী ভাষা ছাড়া ভারতীয় আর কোনো ভাষার ছবি এখানে রাখা হয় নি। তার কারন হিসেবে উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, ভারতীয় সিনেমা দেখানোর জন্য অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা দেখা দেয়। অথচ বিদেশী ছবির অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধাই হয় না বলে তাদের বক্তব্য।
আরও পড়ুনঃ গরু চুরি করতে এসে দড়ির ফাঁদে আটক বাঘমামা
অরিন্দম শীল আরও জানান, এবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একটি ফিল্ম হেরিটেজ তৈরী হয়েছে, সেখানে ১০০টি বাংলা ছবি সংরক্ষন করা হবে। এছাড়া এবছর এপর্যন্ত বাংলা ছায়াছবিও ১০০টি মুক্তি পেয়েছে। যা বাংলা সিনেমার জগতে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
অন্যদিকে, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবও এত কম সংখ্যা হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তবে আগামীতে যাতে দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, সে ব্যাপারে সকলকেই উদ্যোগী ভুমিকা নিতে হবে বলে তিনি বলেন। এজন্য আয়োজন সিনে সোসাইটিকে কলকাতা গিয়ে এক্সপার্টদের সাথে কথা বলতে বলেন।