ডাক্তার সুরক্ষার জন্য যখন তৎপর নবান্ন; লালবাজারও প্রস্তুত সুরক্ষা দিতে; তখনই উল্টো পথে হেঁটে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে;আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই আবেদন নাকচ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেন; ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে; সাধারণ মানুষকে অবহেলা করা যাবে না। সুপ্রীম কোর্ট বলেন; শুধুমাত্র ডাক্তারদের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়; পরিস্থিতিটির “সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি” মাথায় রাখতে হবে। নাগরিকদের সমস্যায় ফেলে; আদালত ডাক্তারদের সুরক্ষা দিতে পারবে না বলে জানায়। তবে তারা ডাক্তার-সুরক্ষার বিরুদ্ধে নন।
আরও পড়ুন: সংবিধানের বাইরে গিয়ে শপথে গুরুর নাম যোগ করলেন সাংসদ
বেঞ্চ জানায়; ডাক্তারদের সুরক্ষা বিষয়টি গুরুতর এবং তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।কিন্তু এই মুহূর্তে ঘটনাটি অত্যন্ত জরুরি নয়। বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও সূর্য কান্ত জানান; ”পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য রাজ্যে চলা ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের কর্মবিরতির জন্যই আজ; মঙ্গলবার শুনানি দিতে রাজি হয়েছিলাম। কর্মবিরতি যখন উঠে গেছে; তখন কোন তাড়াহুড়ো নেই পিটিশন দাখিলে”।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলা, ভারতীয় সেনার হাতে নিকেশ তিন জঙ্গি
কলকাতায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে; এক রোগী মৃত্যু ঘিরে শুরু হয় চিকিৎসা সংকট। মৃতের পরিবার জুনিয়ার ডাক্তারদের উপর চড়াও হয়। মাথার খুলির হাড় ভেঙ্গে দেওয়া হয়; এক জুনিয়ার ডাক্তারের। ১১ই জুন থেকে সুরক্ষার দাবীতে; কর্মবিরতি ঘোষণা করে জুনিয়ার ডাক্তাররা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর; এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা হরতাল ডাকেন। তিনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: লোকসভা শুরু, আশঙ্কা সত্যি করে গরহাজির মিমি ও নুসরাত
এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পাশে দাঁড়ায় গোটা দেশ। ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন শুক্রবার কর্মবিরতি দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। রবিবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দায় তাঁরা।
মঙ্গলবার এআইএমএস-এ ডাক্তার এসোসিয়েশনের জানায়; “পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সহমত হয়ে এআইএমএসের ডাক্তরাও তাদের দায়িত্বে ফিরবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব”। তাঁরা এও জানান; “আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী; কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই ডাক্তারের নিরাপত্তা সম্পর্কিত একটি নতুন কেন্দ্রীয় আইন আনবে। তিনি ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে আবার ধর্মঘট করতে বাধ্য হব আমারা।”