লজ্জায় বাংলার শিক্ষা, তৃণমূল আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগও বেআইনি

204
লজ্জায় শিক্ষা, তৃণমূল আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগও বেআইনি
লজ্জায় শিক্ষা, তৃণমূল আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগও বেআইনি

লজ্জায় বাংলার শিক্ষা, তৃণমূল আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগও বেআইনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে, রাজ্য সরকারের পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের নেওয়া সিদ্ধান্ত খারিজ করার নির্দেশ দিল, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না রাজ্য সরকার, পর্যবেক্ষণ আদালতের।

সচিব হিসেবে এখন আর নবান্নে কাজ করেন না আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতার সৌজন্যে, আলাপন এখন মাসে আড়াই লাখ টাকা মাইনের রাজ্য সরকারের পরামর্শদাতা। তাঁর স্ত্রী সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগও বেআইনি, ঘোষণা করে দিল হাইকোর্ট।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবার পরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দিয়েছিলেন এই সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে, পুনর্নিয়োগের এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই’। সেই সঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে, সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারণের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

গত বছর ২৭ অগাস্ট সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্বহালের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সেই বিজ্ঞপ্তিই খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি-ভাবে, ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ করেন রাজ্যপাল জগদিপ ধনকড়। কোনওরকম বাছাই ছাড়াই, সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের ‘অনন্য নজির’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই নিয়োগকে বেআইনি দাবি করে, কলকাতা হাইকোর্টে এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের হয়।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন