২৯ দিনে এসে অনশন তুলল স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে আশ্বাস দিয়ে যান। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে কথা বলার পর আপাতত অনশন তুলে নেবার সিদ্ধান্ত হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কথামত জুনে সুরাহা না হলে আবার শুরু হবে অনশন ওখানেই, পরিস্কার জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা।
স্কুল সার্ভিস নিয়ে আরও পড়ুনঃ মমতার কথাতেও ওঠেনি অনশন, পুলিশি অত্যাচারের মুখে স্কুল সার্ভিস অনশনকারীরা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে আশ্বাস দিয়ে গেছেন, তাও অনশন তোলেনি স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা। যার জেরে লজ্জাজনক পুলিশি হুমকির মুখেও পড়তে হয় অনশনকারী স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণদের। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার মধ্যে উঠে যাবার নির্দেশও দেওয়া হয় মমতার পুলিশের তরফ থেকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথা মেনে ও বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে কথা বলে সাময়িক ভাবে এই অনশন প্রত্যাহার করা হয়।
স্কুল সার্ভিস নিয়ে আরও পড়ুনঃ ২৮ দিনে টনক নড়ল মমতার, স্কুল সার্ভিস অনশন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী
এই অনশন নিয়ে ২৮ দিন পর টনক নড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁর। বুধবার বিকালে স্কুল সার্ভিস অনশন মঞ্চে যান মুখ্যমন্ত্রী। দেন ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পুরো ব্যপারটা দেখতে বলেন। এখন ভোটের আদর্শ আচরণবিধি চলছে, তাই ভোটের পর এই ব্যপারে ব্যবস্থা নেবার ভরসা দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনশনকারীরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আশ্বাস পাওয়ার পর কি করা উচিত, সেই নিয়ে চলে আলোচনা। তারপর অনশন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা। তবে বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে কথা বলে সাময়িক ভাবে এই অনশন প্রত্যাহার করা হয়।
স্কুল সার্ভিস নিয়ে আরও পড়ুনঃ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাই শুনবে স্কুল সার্ভিস কেলেঙ্কারির ঘটনা
অভিযোগ ছিল, গতকাল গভীর রাতে পুলিশ গিয়ে সমস্ত ত্রিপল ও অন্যান্য আচ্ছাদন খুলে দিয়ে আসে। অনশনকারীদের সকাল ৭ টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যাবার নির্দেশ দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ করেন অনশনকারী স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা। আর এতেই অবাক হয়ে যান অনশনকারী স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা।
স্কুল সার্ভিস নিয়ে আরও পড়ুনঃ খোলা রাস্তায় বসে মমতার ঘেরাটোপ অনশনের রেকর্ড ভাঙল স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে আশ্বাস দিয়ে গেছেন। তার ৫ ঘণ্টা পরে তারই পুলিশ এসে কি করে এই ধরণের চূড়ান্ত ন্যাক্যারজনক কাণ্ড ঘটাতে পারে? ওঠে প্রশ্ন। কি করে এতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ হতে পারেন একটা রাজ্যের এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন করেন অনশনকারী স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা। কিন্তু আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর কথা মেনেই চাকরি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পাবার পরেই সাময়িক ভাবে তুলে নেওয়া হয় আন্দোলন।
স্কুল সার্ভিস নিয়ে আরও পড়ুনঃ বাংলা এখন লাশের রাজনীতিতে অভ্যস্থ, শুধু একটা লাশ চাই আমাদের
কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন আন্দোলন বৃহস্পতিবার পা দেয় ২৯ দিনে। দিন যত গড়াচ্ছে ততই জটিল আকার নিচ্ছিল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অনশন আন্দোলন। শেষ পর্যন্ত ২৯ দিনে এসে অনশন জট সাময়িক কাটল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার রাজপথে অনশনে বসেছিলেন এই যুবক-যুবতীরা।
স্কুল সার্ভিস নিয়ে আরও পড়ুনঃ এসএসসি চাকরির আন্দোলন বন্ধের নির্দেশ, জোর করে তুলে দেবার হুমকি পুলিশের
শুরুতে প্রায় ৪৫০ জনকে নিয়ে অনশন শুরু করেছিলেন এসএসসি-র ওই চাকরি প্রার্থীরা। অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক প্রার্থী। গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হওয়ায় গর্ভপাত করতে হয়েছে একজন অনশনকারীর। দুই অন্তঃসত্ত্বাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হসপিটালে ভর্তি করতে হয়েছে ৫৮ জনকে।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ভোটে উড়ছে টাকা, ৪২ আসনে নজরদারিতে ৪৪ জন ব্যয় পর্যবেক্ষক
অনশনরত মোট ১০০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বীরভূমের একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত, মুর্শিদাবাদ থেকে আসা একজন ভুগছে রক্ত আমাশায়। তবু প্রতিদিন গড়ে ২০০ জন করে প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন অবস্থানে বসে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, “এসব সত্ত্বেও আমাদের লড়াই থামবে না”। প্রায় ৩৫০ জন এখনও অনশন মঞ্চে ছিলেন। আপাতত রাজ্য সরকারের আশ্বাসে সাময়িক ভাবে মিটল এই অনশন আন্দোলন।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।