The News বাংলা: বিরোধীদের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে আপত্তি নেই কেন্দ্রের। বৃহস্পতিবার সংসদে একথা ঘোষণা করে বিরোধীদের চুপ করিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে তিনি জানান, ভোটের ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
গত ২২শে নভেম্বর বিরোধীদের সরকার গঠনের উদ্যোগের মাঝেই জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। এরপরেই কংগ্রেস, পিডিপি সহ সব বিরোধীরাই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যাবার পর ৬ মাসের মধ্যে জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন করতেই হবে। কেন্দ্র ভোট চাইছে না বলেই অভিযোগ ওঠে। সব অভিযোগ সংসদেই উড়িয়ে দিলেন রাজনাথ সিং।
শুধু তাই নয়, ভোটের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ধ্বনিভোটের মাধ্যমে তাঁকে সমর্থন জানায় রাজ্যসভা। তবে ভোটের ব্যপারে শেষ কথা বলবে নির্বাচন কমিশন, জানিয়ে দেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ
EXCLUSIVE: নতুন বছরে সুখবর, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন বকেয়া ডিএ
বাংলায় আবার নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক
‘রাম’কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিয়ে বাংলায় তুলকালাম
কংগ্রেস ছেড়ে মমতার ‘মহানায়িকা’ এবার মোদীর বক্স অফিসে
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাকামী নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় অনাগ্রহী, এই অভিযোগও রাজ্যসভায় উড়িয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্মরণ করিয়ে দেন যে, ২০১৬ সালে যখন সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল দেখা করতে যায়, তারাই বৈঠকে বসতে অস্বীকার করে। রাজনাথের অভিযোগ, এই সমস্ত কারণেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে বাধা তৈরি হচ্ছে। এদিন রাজনাথ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে নিঃশর্ত আলোচনায় বসতে আগ্রহী কেন্দ্র।
বিজেপি আর পিডিপি একসঙ্গে উপত্যকায় সরকার চালাত। এরই মাঝে জুন মাসে পিডিপি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি। তারপর থেকেই কাশ্মীরে রাজ্যপাল শাসন জারি ছিল।
গত বছরের মাঝ নভেম্বরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিএফ নেত্রী মেহেবুবা মুফতি এবং ন্যশনাল কনফারেন্সের নেতা আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার দল একযোগে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নেয়। টুইট করে মুফতি দাবি করেন রাজ্যপালের সঙ্গে ফোন বা ফ্যক্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গে ৫৬ জন বিধায়কের সমর্থন আছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরে লন্ডনে থাকা সাজিদ লোন রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে হোয়াটস অ্যাপে সমর্থনপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানান। তাঁর দলের দুই বিধায়কের সম্মতিও আছে সেখানে। এছাড়া তাঁর দাবি ছিল, বিজেপির ২৫ জন এবং অন্য ১৮ জন বিধায়কের সমর্থনও আছে তাঁর সঙ্গে।
কিন্তু তার পরে হঠাৎই বিধানসভা ভেঙে দেন রাজ্যপাল। জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। ফ্যাক্স মারফৎ বিধানসভা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত জানান রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। রাজ্যপাল বলেন, “দুটি বিপরীত চিন্তা ভাবনায় আস্থা রাখা দল একসঙ্গে স্থায়ী সরকার দিতে পারেবে না। তাই, বিধানসভা ভাঙা হয়েছে”।
আগামী ছমাসের মধ্যে ভোট করতে হবে উপত্যকায়। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং “লোকসভার সঙ্গেই ভোট হতে পারে কাশ্মীরে”, বলে দেওয়ায় বল এখন নির্বাচন কমিশনের কোর্টে। এই মুহূর্তে ভূস্বর্গে ভোটে নিরাপত্তার ব্যপারটাই চিন্তা ভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে রাজনাথের ঘোষণার পর কাশ্মীরে ভোট নিয়ে এবার বিরোধীদের মুখ বন্ধ হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ
ভোরবেলায় শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস সৃষ্টি ‘মা দুর্গার’
নারী ঢোকায় ‘অপিবত্র’ শবরীমালা, ‘শুদ্ধ’ করার জন্য বন্ধ মন্দির
দেশপ্রেম বাড়াতে স্কুলের রোল কলে এবার ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় ভারত’
শেখ হাসিনাকে প্রথম অভিনন্দন জানালেন নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অবিশ্বাস্য জয়, ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় শেখ হাসিনা
চিন সীমান্তে ভগবান হয়ে পর্যটকদের উদ্ধার ভারতীয় সেনার
শীতের বাংলায় বৃষ্টি আনতে আন্দামান থেকে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।