“নোবেল পেয়ে রবীন্দ্রনাথকেও কথা শুনতে হয়েছিল”; মমতার অ্যাকাডেমি বিতর্কে এবার আসরে নামলেন ব্রাত্য বাসু। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে বাংলা অ্যাকাডেমির বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই এই নিয়ে; জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা এই পুরস্কারের ‘যোগ্য’ নন; বলেই দাবি কারও কারও। বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার বিতর্কে; এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কী কারণে পুরস্কার পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী; তা ব্যাখ্যা করলেন তিনি। ‘নোবেল পেয়ে রবীন্দ্রনাথকেও কথা শুনতে হয়েছিল’; মমতার অ্যাকাডেমি সম্মান বিতর্কে এবার এমনই মন্তব্য করলেন ব্রাত্য বসু।
মুখ্যমন্ত্রীকে সমালোচনার জবাবে ব্রাত্য বাসু বলেন; “বাজপেয়ীর কবিতা সম্মানিত হলে বিতর্ক হয় না তো; মমতাকে নিয়ে এত প্রশ্ন কীসের? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাজে অনেক অবদান রয়েছে। রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের নিয়ে তৈরি জুরি বোর্ডই; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরস্কৃত করেছেন। রাজনীতিবিদদেরও সাহিত্য চেতনা থাকতেই পারে। কবিতার মান নিয়ে কথা বলতেই পারেন। কবিতার মান আপেক্ষিক। যাদের ইচ্ছা বিতর্ক করার তাঁরা করবেন। আপনার কী ভাল লাগল; তা আমার ভাল নাও লাগতেই পারে”।
যেকোনও ভাল কাজে বিতর্ক হওয়াই স্বাভাবিক; বলেই মত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর। তাঁর কথায়, “পৃথিবীর সব পুরস্কারেই বিতর্ক রয়েছে; কোনও পুরস্কারই বিতর্কের উর্ধে নয়। প্রশ্ন ছিল বব ডিলানের নোবেল নিয়েও; পদত্যাগের ঘটনা নোবেলেও রয়েছে; নোবেল পাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ-কেও কথা শুনতে হয়েছিল”।
মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাকাডেমি পুরস্কারের প্রতিবাদে; সম্মান ফেরান অনেকেই। ২০১৯ সালে পাওয়া অন্নদাশংকর স্মারক ফেরান; লেখিকা এবং গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি; এবার মমতার পুরষ্কার পাওয়ার ঘটনায়, সাহিত্য অ্যাকাডেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ইস্তফা দেন অনাদিরঞ্জন বিশ্বাসও।
গত সোমবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী-তে, রাজ্য সরকারের ‘কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠানে; এই বছরই শুরু করা ত্রিবার্ষিক নতুন বিশেষ অ্যাকাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, “এই বিশেষ পুরস্কার তিন বছর অন্তর দেওয়া হবে তাঁদের; যাঁরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার পরেও নিরলসভাবে সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন।
প্রথম বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থকে স্মরণে রেখে; এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী নিজেই। তারপরেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক।