নিউ দিল্লি: নিজের লেখা কবিতা কখন যেন গান হয়ে গেছে আর সেই গানের তালে তালে নবরাত্রির নাচ দেখে মুগ্ধ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেটেই এই নাচ দেখলেন মোদী। নাচ দেখে চোখে জল চিকচিক করল তাঁর। আবেগ গোপন না করেই টুইট করলেন তিনি।
সমগ্র ভারত তথা উত্তর ভারত জুড়েই চলছে নবরাত্রির প্রস্তুতি। গোটা দেশ মেতে উঠেছে উৎসবের মেজাজে। নিজস্ব রীতি অনুযায়ী পোশাক আর নাচ ছাড়া নবরাত্রির উৎসব সম্পূর্ণ হয় না।
উৎসবে নাচার জন্য ডান্ডিয়া ও গারবা নাচের প্রস্তুতি চলছে। কোথাও ফাল্গুনী পাঠকের, কোথাও আবার অমিত ত্রিবেদীর গানের সুরে পা মেলাচ্ছেন নাচিয়েরা। সেই সময় একটি গানে নাচলেন বেশ কয়েকজন দৃষ্টিহীন মেয়ে। গানটি লিখেছেন আর কেউ নয়, স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গুজরাতি ভাষায় লেখা মোদীর কবিতায় সুর দিয়েছেন সুরকাররা। গেয়েছেন ঐশ্বর্য্য মজুমদার ও অমি পারিখ। গুজরাতি ভাষায় কবিতার নাম ‘ঘুমে এনো গারবো’, লেখক নরেন্দ্র মোদী।
গুজরাতের আহমেদাবাদের ‘অন্ধ কন্যা প্রকাশ গ্রূহ’ নামে একটি দৃষ্টিশক্তিহীন মহিলাদের সংস্থা এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা কবিতার গানেই নবরাত্রির নাচ করবেন বলে ঠিক করেছেন। ট্রাডিশনাল গানের বদলে একটু স্বাদ পরিবর্তন। গারবা নাচই নাচলেন মেয়েরা, তবে মোদীর কবিতায় সুর করে।
ইতিমিধেই ইন্টারনেটে এই নাচ ভাইরাল। নরেন্দ্র মোদীর লেখা জানার পর আরও ভাইরাল এই নাচের ভিডিও। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই নাচ দেখে একেবারে মুগ্ধ। টুইট করে নিজের সেই আবেগ জানালেন দেশবাসীকে।
জানালেন, তাঁর লেখা কবিতায় সুর দিয়ে এই দৃষ্টিহীন মেয়েদের গারবা নাচ তাঁকে মুগ্ধ করেছে। বেশ অবাকই হয়েছেন মোদিজী। ওই টুইটেই নবরাত্রির জন্য ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একসময় গুজরাতি ভাষায় কবিতা লিখতেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এতদিন পর সেই কবিতা আবার এবারের নবরাত্রির উৎসবে প্রকাশ্যে এল গুজরাতের আহমেদাবাদের ‘অন্ধ কন্যা প্রকাশ গ্রূহ’ নামে ওই দৃষ্টিশক্তিহীন মহিলাদের সংস্থার হাত ধরে।