ভোট প্রচারে লজ্জার ছবি। ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ছবি। এক পুলিশ কর্মী ধরে আছেন তৃণমূলের ছাতা। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, বাংলার পুলিশের কাজ কি তৃণমূলের ছাতা ধরা? ভাইরাল হওয়া ছবিতে পুলিশের এই ভূমিকা খুব লজ্জার বলেছেন সাধারণ মানুষ।
LIVE: সারাদিন কি হচ্ছে বাংলার ভোটে, দেখে নিন প্রথম দফার ভোটের সব ঘটনা
বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ও ফের ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মাথায় ছাতা ধরে আছেন রাজ্যের এক পুলিশ কর্মী। ছাতায় তৃণমূলের সিম্বল দেওয়া। আর এই ছবি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্যের কোন পুলিশ কর্মী কি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীর মাথায় দলিয় চিহ্ন দেওয়া ছাতা ধরে থাকতে পারেন? উঠে গেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস
দেখুন সেই ভাইরাল ছবিঃ
আর এই লজ্জার ছবি পোস্ট করেছেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ও ফের ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার নিজেই। আর ছবি ভাইরাল হবার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যের পুলিশ কর্মীদের কাজ কি রাজনৈতিক নেত্রীর মাথায় ছাতা ধরা? এটাই কি পুলিশের কাজ। পুলিশের উর্দির অপমান কি এই ছবিতে হয় নি? প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ‘দাওয়াই’ দেওয়ার বেনজির হুমকি রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
দেখুন সেই ভাইরাল ছবিঃ
গাড়িতে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুজিত বসুও। গাড়িতে সাংসদ ও মন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন অনেক তৃণমূল নেতা কর্মী। কিন্তু কেউই নেত্রীর মাথায় তৃণমূলের ছাতাটি ধরার প্রয়োজন বোধ করেন নি। নেত্রীর মাথায় তৃণমূলের ছাতাটি ধরতে হয়েছে রাজ্যের এক পুলিশ কর্মীকে।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভবিষ্যতের ভূতকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেবে মমতা সরকার
রাজ্যের পুলিশ কর্মীর কাজ নেত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়া। তাঁর ফাই ফরমাশ খাটা বা ব্যক্তিগত কেজ করা নয়। কিন্তু নেত্রীর মাথায় তৃণমূলের ছাতাটি ধরে সেই লজ্জাজনক কাজটিই তিনি করেছেন। রাজ্যের পুলিশের হাল এই ছবি দেখেই বোঝা যায় বলেই মন্তব্য করেছেন অনেক মানুষ।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিমির বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকল যাদবপুর
ভাইরাল হওয়া ছবিকে ঘিরে ফের একবার বাংলার পুলিশ কর্মীদের নৈতিক চরিত্রটা সামনে এল বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। ভাইরাল হওয়া ছবিতে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন আমজনতা। পুলিশ এখন শাসক দলের ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চামচা বলেই মন্তব্য করেছেন অনেকেই। আর সেটা যে বাংলার পুলিশ কর্তাদের খুব একটা খুশি করবে না সেটা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুনঃ মমতার ফোনের পরই ৫ টি বুথে পুনরায় নির্বাচন চাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
তবে এই নিয়ে মুখ খুলতে চান নি কোন পুলিশ কর্তা। এই নিয়ে যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায় নি বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ও ফের ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে নেত্রী ও মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্য পুলিশের এই হাল দেখে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা নয় কোচবিহার থেকে ভোট মনিটরিং করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।