সাতটা থেকে এগারোটা খুব শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বাংলায়। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বাংলার বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। সেই শুনে সকাল থেকে চার ঘণ্টা বাংলার ভোট দেখা রাজনৈতিক মহল বলছে, ‘জোক অফ দা ডে’। গম্ভীর রসিকতা।
সকাল থেকেই বিভিন্ন ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা বাংলার ভোট। দুর্গাপুরের জেমুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের ব্যপক লাঠিচার্জ। রণক্ষেত্র জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ স্কুল চত্বর।
আরও পড়ুনঃ আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, পোলিং অফিসার-বাবুল কথা কাটাকাটি
বর্ধমান দুর্গাপুরের জেমুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, এই দাবী নিয়েই ভোট বয়কট করলেন ভোটাররা। তুমুল বিক্ষভে বন্ধ ভোট। জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ এ বিক্ষোভ দেখান ভোটাররা। এরপর ভোটারদের আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
লাঠিচার্জ শুরু করে করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ছুটে পালাচ্ছেন ভোটাররা। জেমুয়া রণক্ষেত্র। পুলিশের লাঠির আঘাতে আক্রান্ত তিন বছরের শিশুও। লাঠি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হয় বুথের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুরের জেমুয়া স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ
বীরভূমের নানুরে গ্রামবাসীদের সাথে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ হয়। এখনও চলছে। নানুরের ২১৭ নাম্বার বুথে বিজেপি সমর্থক এর হাত ভেঙ্গে দেবার অভিযোগ। বয়স্ক ব্যাক্তিকে মারধর করা হয়। ভোটারদের জন্য শাসক দলের ব্যাবস্থায় রান্না ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
শান্তিপুরে বোমা উদ্ধার। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ির সামনে থেকে বোমা উদ্ধার হয়। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যেই উদ্ধার হয় বোমা। পরে পুলিশ গিয়ে বোমাটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ শুরু হল চতুর্থ দফার ভোট, রণক্ষেত্র দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ স্কুল চত্বর
কেতুগ্রামে ছাপ্পা ভোট সংবাদ মাধ্যম ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে। পর পর ছাপ্পা ভোট। প্রিজাইডিং অফিসারকে গ্রেফতার করার দাবি। সংবাদ মাধ্যমের তোলা ভিডিও দেখে প্রিজাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। নানুরের ২১৭ নং বুথে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ।
মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন বুথে কংগ্রেস এজেন্টকে বসতে না দেবার অভিযোগ। পার্টি অফিস থেকে ছুটে এসে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের এজেন্ট বসালেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলজিয়েট স্কুলের ৬ ও ৭ নম্বর বুথে এই ঘটনা ঘটে। বহরমপুর শহরের বিভিন্ন বুথে তিনি ঘুরে ঘুরে নিজের এজেন্ট বসান। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে।
আরও পড়ুনঃ বউয়ের খোঁজ রাখেন না, দেশের মানুষের খোঁজ কি করে রাখবেন, মোদীকে খোঁটা মমতার
বহরমপুর বি এড কলেজে পাচিল টপকে বুথে ঢোকায় আটক এক। এখানে ছাপ্পা ভোট দেবার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বহরমপুর শহরের বিভিন্ন বুথেই ঝামেলা চলছে। অনেক বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই বলেই দাবী। কোথায় তৃণমূল, কোথাও কংগ্রেস যে যেখানে পারছে এলাকা দখল করে রেখেছে।
ভোট শুরুর মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট ও সংঘর্ষের খবর আসছে। তবুও সাতটা থেকে এগারোটা খুব শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বাংলায়। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বাংলার বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। আর এটাকেই রসিকতা বলেছে রাজনৈতিক মহল।