The News বাংলা, অমৃতসর: অমৃতসরে প্রার্থনাসভায় গ্রেনেড হামলায় পাকিস্তানেরই হাত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়ে দিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং। হামলায় যে গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে তা পাকিস্তানেই তৈরি। পাকিস্তান আর্মি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির ছাপ রয়েছে বিস্ফোরণ হওয়া গ্রেনেডে, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ অমৃতসরে প্রার্থনাসভায় গ্রেনেড হামলায় মৃত ৩
সোমবার, পাঞ্জাবের অমৃতসরের আদলিয়ালা গ্রামে বড়সড় বিস্ফোরণ হয়। আদলিয়ালা গ্রামে একটি নিরংকারি ভবনে নিরংকারি সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন বাইকে চড়ে দুই আততায়ী এসে গুলি চালায় এবং গ্রেনেড ছোঁড়ে। এর জেরে মৃত্যু হয় তিনজনের, আহত হন প্রায় পঁচিশজন।
আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে গোটা এলাকায়৷ নামে বিশাল পুলিশবাহিনী৷ আততায়ীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। যদিও হামলার সময় মুখ ঢাকা থাকায় এখনও হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারে নি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘গুজরাট দাঙ্গা’, ২৬ নভেম্বর মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনায় ব্যবহার করা গ্রেনেডে পাকিস্তানের স্ট্যাম্প মারা রয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং জানিয়েছেন এই ঘটনায়, পাকিস্তানের আইএসআই পরিচালিত খালিস্তানি বা কাশ্মীরি উগ্রপন্থীদের হাত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং জানান তদন্তে পরিষ্কার, পাকিস্তান আর্মি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকেই এই গ্রেনেড তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান আর্মি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকেই পাক সেনাবাহিনীর অস্ত্র তৈরি হয়। আর ঠিক সেই গ্রেনেডই ব্যবহার করা হয়েছে এই হামলায়।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই মোদী বিরোধী মহাজোট, নবান্নে জানালেন মমতা চন্দ্রবাবু
পাঞ্জাব পুলিশ গতমাসেই পাক উগ্রপন্থীদের একটি বিস্ফোরণস্থল থেকে এই একই ধরনের এইচ জি ৮৪ গ্রেনেডের খোল উদ্ধার করে। সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতেই এই ধরনের নাশকতা চালান হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং পাক যোগের কথা বললেও, পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি সুরেশ অরোরা বলেছেন, তদন্ত চলছে এখনই বলার মত কিছু নেই। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এনআইএ আলাদা করে এই হামলার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশ হত্যা মামলা’তেও বাংলার পুলিশের মুখে চুনকালি
হামলায় জড়িতদের ব্যপারে খবর দিতে পারলে তাকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং। নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি ও ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা রাজ্যে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উগ্রপন্থীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।