সেনাবাহিনীর অরাজনৈতিক ভাবমূর্তি বজায় রাখার দাবিতে প্রাক্তন সেনা কর্তারা চিঠি দিয়ে আবেদন করলেন রাষ্ট্রপতির কাছে। ৮ প্রাক্তন সেনাপ্রধানের উদ্যোগে ১৫৬ জন বিশিষ্ট সেনা কর্তাদের সই করা চিঠি দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। তবে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এখনও কোন চিঠি তারা পান নি। অথচ সংবাদমাধ্যমে সেই চিঠি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাহলে কি এটা ফেক চিঠি? উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ প্রতিশ্রুতি মতো ১০০ ভারতীয় বন্দীকে মুক্তি দিল পাকিস্তান
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর পরে উইং কমান্ডার অভিনন্দন এর ছবি যেভাবে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল ব্যবহার করছে তাতে সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে। সেনার কাজ নিয়ে রাজনীতি করা যায় না, এই মর্মে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধানরা। তবে বিবৃতিতে সই করা ১৫৬ জন সেনাকর্তার অনেকেই বলেছেন তাঁরা এই নিয়ে কিছুই জানেন না।
আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয় দফা ভোটে আরও ২৫ কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনী আসছে বাংলায়
এটি একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাক্তন সেনা কর্তাদের তরফ থেকে। চলতি লোকসভা নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর “রাজনৈতিকীকরণ” এর বিরুদ্ধে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাবাহিনী কর্তা, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রধানসহ ১৫০ জনেরও বেশি সেনা কর্তা ও সদস্য সাক্ষর করেছেন এই আবেদন পত্রে।
আরও পড়ুনঃ সেনার পোশাকে বুথে রাজ্য পুলিশ কর্মী, গাদা বন্দুক নিয়েই ধরা পরে গেলেন
‘ভেটেরিনার্স গ্রুপ অফ আওর সুপ্রীম কমান্ডার’, শীর্ষক আবেদনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘মোদিজী কি সেনা’ মন্তব্যকে তীব্র প্রতিবাদ জানায় প্রাক্তন সেনা সদস্যরা। তাদের মতে এই ধরনের কথা সেনার পক্ষে অত্যন্ত অপমান ও অসম্মানজনক। এই ধরনের কথা পরবর্তীকালে যেন কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি বা রাজনৈতিক দল ব্যবহার না করে সে রকম আর্জি এই চিঠিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন
নজিরবিহীন চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে বলা হয়েছে, “আমরা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসাবে, কিছু কিছু ঘটনা যা আমাদের উদ্বেগের কারন হয়েছে, বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট বিপদ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে”। অভিনন্দন বর্তমান যিনি এই দেশের প্রত্যকের গর্ব, বীরত্বের প্রতীক তাকে রাজনীতির মঞ্চে কোন দলের ব্যবহার করা উচিত না।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস
আবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে হামলা চালানোর মতো সামরিক অভিযানকে, রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের প্রচারে ব্যাবহার করা খুবই অস্বাভাবিক এবং পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বিষয়, এমনকি সেনাবাহিনীকে “মোদি জি কি সেনা” বলে দাবি করা বা প্রচারাভিযানের সময় সামরিক বাহিনী ও ভারতীয় বিমান বাহিনী উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান এর ছবি উল্লেখ করা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে
চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন তিন প্রাক্তন সেনাপ্রধান, সুনিথ ফ্রান্সিস রড্রিগুজ, শঙ্কর রায়চৌধুরী, দীপক কাপুর। চার প্রাক্তন নৌবাহিনীর প্রধান, লক্ষ্মীনারায়ন রামদাস, বিষ্ণু ভাগওয়াত, অরুণ প্রকাশ, সুরেশ মেহতা এবং প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধান এনসি সুরি। এছাড়াও আবেদনে সই করেছেন ১৫০ জন প্রাক্তন সেনা কর্তা।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গি ঘাঁটিতে ফের হামলার পরিকল্পনা করছে ভারত, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।