“মু’সলিম দেশে যোগ দিবস হবে না”; ‘আ’ল্লাহ হু আ’কবর’ বলে ভারতের যোগ দিবসে হা’মলা”। মাসখানেক আগে, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সত্যি কথা নিয়ে যারা উ’ত্তাল হয়ে উঠেছিলেন; আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে তাদের ধ’র্মের মানুষের হা’মলা নিয়ে কেন উদাসীন তারা? মালদ্বীপের রাজধানীতে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতীয়দের আ’ক্রমণ; ফুটবল স্টেডিয়ামে ভাঙ’চুর উন্ম’ত্ত মুস’লিম জনতার, বন্ধ অনুষ্ঠান।
বিশ্বের সিংহভাগ দেশেই, ২১ জুন দিনটিকে; আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে চিহ্নিত করতে; রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটিতে যে ১৭৭টি দেশ সায় দিয়েছিল; তার মধ্যে অন্যতম ছিল ইস’লাম অধ্যু’ষিত দেশ মালদ্বীপ। সেইমতো এতদিন ধরে প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে, আয়োজিত হয় অনুষ্ঠান; তত্ত্বাবধানে ভারতীয় হাই কমিশন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাজধানীর মালের ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে; যোগচর্চায় যোগ দিয়েছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু আচমকাই তাল কাটল।
আরও পড়ুন; জেনে নিন কিভাবে ‘অনায়াসে’ জিতে, দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হবেন দ্রৌপদী মূর্মু
পতাকা, পোস্টার নিয়ে হইহই করতে করতে, ‘আ’ল্লাহ হু আ’কবর’ বলে; ফুটবল স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়ল প্রচুর মুস’লিম ধ’র্মের মানুষ। “মু’সলিম দেশে যোগ দিবস হবে না; যোগাভ্যাস বন্ধ করতে হবে”; এই দাবিতে তুমুল উত্তে’জনা শুরু হয় সেখানে। ভারতীয় কূটনীতিকদের রীতিমতো হু’মকির মুখে পড়তে হয়; চূড়ান্ত বিশৃ’ঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলেও তাতে ব্যর্থ হয় মালদ্বীপের পুলিশ। বন্ধ করে দিতে হয় অনুষ্ঠান।
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে; গোটা বিশ্ব জুড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইস’লামের পতাকা হাতে; মাঠে ঢুকেছে কয়েকজন। যাঁরা যোগাসন করছিলেন, তাঁদের উপর হা’মলা চলে; যোগের ম্যাটে আ’ছড়ে পড়ে লাঠি। আশপাশে ছোটখাটো খাবারের দোকানেও ভাঙ’চুর চলে। না গোটা বিশ্বের মুস’লিম মানুষরা; এখন অব্দি একটা শব্দ বলেননি প্রতিবাদে; কোথাও বিক্ষো’ভ মিছিল হয়নি।
আসলে ক’ট্টরপ’ন্থী ইস’লামিকদের বিশ্বাস; যোগাসন মানে সূর্যের উপাসনা। কিন্তু ইস’লাম ধ’র্মে পুজো কিংবা উপাসনা তো নি’ষিদ্ধ। তাই যোগচর্চা তাদের ধ’র্মে নি’ষিদ্ধ; তাই দেশেও কাউকে এটা করতে দেওয়া হবে না। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলি টুইট করে জানান; “পুলিশ ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এটা খুবই গুরুতর ঘটনা; দোষীদের অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে”।