রাহুল ৪০-৫০ বছর বয়সের ধেড়ে খোকা। রাহুল এবং সনিয়াকে বিঁধতে গিয়ে এমন একটি বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করে বসলেন নরেন্দ্র মোদী, যার জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি শনিবার ছাত্রদের একটি অনুষ্ঠানে ‘ডিসলেক্সিয়া’ নিয়ে মজা করেন বলে অভিযোগ। তাঁর সেই অসংবেদনশীল আচরণের ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হতেই নিন্দায় সরব হন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের কোপে এবার প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
ভিডিওয় দেখা যায়, একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন মোদী। প্রতিযোগিতাটি ছিল, মা-সন্তান জাতীয় সমস্যাগুলিকে কী ভাবে প্রযুক্তি দিয়ে মেটানো যায়, সে বিষয়ে নানা রকম ধারণার কথা বলছেন পড়ুয়ারা। এই প্রতিযোগিতায় নানা কথা বলতে গিয়েই ওঠে ডিসলেক্সিয়া প্রসঙ্গ।
দেরাদুনের এক এঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী দাবি করেন, তিনি এমন একটি প্রোগ্রামিং করতে চান, যা দিয়ে ডিসলেক্সিক শিশুরা তাদের সমস্যাগুলি থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারে। তারা সহজে মায়ের কথা বুঝতে শিখবে, লেখার সমস্যাও কমে যাবে
আরও পড়ুনঃ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে মাসুদ আজহারকেও কি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা
ওই ছাত্রী বলেন, “যে সমস্ত ডিসলেক্সিক বাচ্চাদের শেখার গতি খুব ধীর, যারা অনেক সময় নেয় লিখতে, অথচ বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা খুবই বেশি, যেমন ‘তারে জমিন পর’ সিনেমাটায় দেখা গেছে দর্শিল বলে ছেলেটি….”। এতটা বলার পরেই মোদী তাঁকে থামিয়ে মন্তব্য করেন, “এই প্রোগ্রামিং কি ৪০-৫০ বছর বয়সের ধেড়ে খোকাদের ক্ষেত্রেও একই কাজ করবে?”
আরও পড়ুনঃ ইমরান খানকে ভারতের পরমাণু অস্ত্র হুমকি দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি
কয়েক মুহূর্ত সকলে চুপ থাকার পরেই হাসির রোল ওঠে। হাততালিতে ফেটে পড়ে ঘর। হাসতে থাকেন মোদী নিজেও। ওই ছাত্রী অবশ্য একটুও না ঘাবড়ে উত্তর দেন, “হ্যাঁ স্যার, সব বয়সের জন্যই কাজ করবে।”
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।