ফের খবরের শিরনামে রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুল। এবার হাতের শিরা কাটা অবস্থায়; স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু। আর সেই নিয়েই শোরগোল স্কুল শিক্ষা মহলে। স্কুলের টয়লেটে; রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে পাওয়া যায়। পরে যোধপুর পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে; ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলের; শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় দশম শ্রেণির ছাত্রী কৃত্তিকা পালের অচৈতন্য দেহ। পুলিশ সূ্ত্রের খবর; তার হাতের শিরা কাটা ছিল। মুখে প্লাস্টিক জড়ানো ছিল। উদ্ধার হয় ৩ পাতার একটি সুইসাইড নোটও। তাতে পারিবারিক অশান্তির কথা আছে; পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর।
কৃত্তিকা পাল নামের ওই ছাত্রীর হাতের শিরা কাটা ছিল। তার মুখ থেকে সাদা সাদা গ্যাঁজলা উঠছিল; বলেও জানিয়েছে পুলিশ। আর এই দুটোই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। স্কুলের বাথরুম থেকে; একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। এটি হত্যা না আত্মহত্যা; খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কিন্তু স্কুলের টয়লেটে একজন ছাত্রীর দেহ অতক্ষন পরে রইল; অথচ কারোরই চোখে পড়ল না? এটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। রাতের দিকে রানীকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলে; যায় পুলিশের ফরেনসিক দল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনা ঘিরে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন। দুপুর ২টো ১০ নাগাদ স্কুলের শৌচালয়ে; কৃ্ত্তিকাকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন; অন্তত ২০ মিনিট শৌচালয়ে; হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পড়েছিল সে। কেন এটা কারও চোখে পড়েনি; সেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, স্কুলে সিসিটিভির অবস্থান নিয়েও ধোঁয়াশা।
সিসিটিভি থাকলে, শুক্রবার স্কুলে কৃত্তিকার গতিবিধি নজর করা যেত; বলেই মনে করছে কলকাতা পুলিশ। এদিকে কৃত্তিকার কাছে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে; পারিবারিক বিবাদের কথা উল্লেখ থাকায় আরও ধন্দে তদন্তকারীরা। তার বাবা, মা এবং পরিবারের সদস্যদের আটক করে; জিজ্ঞাসাবাদের কথাও ভাবা হচ্ছে।
আগে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ঘটনায়; রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুল খবরের শিরোনামে এসেছে। কখনও ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা; কখনও স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে স্কুল। অভিভাবকদের চাপে পড়ে স্কুল চত্বরের ভিতরে; অপ্রীতিকর ঘটনা নজরে আনতে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও যে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি; শুক্রবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।