হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে; আরোহণ করতে গিয়ে গত দুই দশকে মারা গেছেন; প্রতি বছর গড়ে ছয়জন আরোহী। অথচ এ বছর; শুধু বসন্ত মরসুমেই মৃত্যু হয়েছে ১০ পর্বতারোহীর। এসব মৃত্যুর জন্য এভারেস্টে আরোহীদের ভিড় লেগে যাওয়াকে দায়ী করা হলেও; আরও চারটি কারণের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরোহীদের অনেকেই মে মাসের শুরু থেকে; এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে জড়ো হতে শুরু করেন। এই সময় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবের কারণেও কর্তৃপক্ষের মধ্যে; এভারেস্টে আরোহণের বিষয়ে কিছু শঙ্কা ছিল। খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন আরোহী; যারা এরই মধ্যে অনেক উপরের দিকে উঠে গিয়েছিলেন; তারা বেস ক্যাম্পে নেমে আসেন। ফলে ক্যাম্পে আরোহীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ছয় মাসের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার
ভিড় সামলানোর অব্যবস্থা; এবারের এত প্রাণহানির জন্য পর্বতারোহণ বিশেষজ্ঞরা; অব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। দিনটি ছিল ২৩ মে; এইদিনেই সর্বোচ্চসংখ্যক আরোহী চূড়া অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন; অত্যাধিক ভিড়ের জন্য ওঠা ও নামার পথে; আরোহীদের চূড়ার নিচের ক্যাম্পে কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয় এবং তাদের সিলিন্ডারের অক্সিজেনও ফুরিয়ে যেতে থাকে।
অনভিজ্ঞ আরোহীর সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে; তাদের সঙ্গে থাকছেন না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শেরপা গাইড; অন্যান্য শিখরে ওঠার সঙ্গে যে এভারেস্টে আরোহণের একটা তফাত আছে সেটা তারা জানে না; যা তাদের বিপদে ফেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ এসএসকেএমে মেজাজ হারালেন মমতা, বিজেপির উত্থানেই কি বিপর্যস্ত
অভিজ্ঞ আরোহীরা বলছেন; আরোহণের ব্যাপারে এখন কিছু শর্ত আরোপ করার সময় এসেছে। যেমন যাদের ছয় হাজার মিটার উপরে ওঠার অভিজ্ঞতা আছে; শুধু তাদেরই এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি দিতে হবে।
বাড়ছে অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা; এভারেস্টে আরোহণের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন কিছু অপারেটরও। নতুন অপারেটররা আরোহীদের কাছ থেকে কম অর্থ নিচ্ছে। এসব সংস্থা অনভিজ্ঞ লোকজনকে গাইড হিসেবে নিয়োগ করছে।
এই প্রতিযোগিতার কারণে পুরনো অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ফি কমিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে খারাপ পরিস্থিতিতে তারা আর আরোহীকে খুব একটা সহযোগিতা করতে পারে না; যা আরোহীদের জীবনকে সংশয়ে ফেলে দিচ্ছে। এটাই এখন চিন্তার বিষয়।