খুব শীঘ্রই চালু হচ্ছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করে দিল নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকার। বহুদিন থেকেই তৈরি হয়ে পরেছিল জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। ক্যাবিনেট বৈঠকে সবুজ সংকেত দেবার পর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। মোদী মন্ত্রীসভার এই ঘোষণা শুনেই গোটা জলপাইগুড়িতে মাইকিং শুরু করে দেয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
আরও পড়ুনঃ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এর বড় ঘোষণা, লোকসভা ভোটের আগে মধ্যবিত্তের মুখে হাসি
“সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্র। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের সমস্ত পরিকাঠামো প্রস্তুতের পরও মোদী সরকারের টালবাহানায় চালু করা যাচ্ছে না সার্কিট বেঞ্চের কাজ”, বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে কেন্দ্রের ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগ তুলে অনেকবারই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির আইন কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ চালু করার সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুনঃ বাংলার জেলা এখন বোমার গোডাউন, জেলাতেই রাখা হচ্ছে সিআইডি বোম্ব স্কোয়াড
দীর্ঘ দিন ধরেই কলকাতা হাইকোর্টের শাখা হিসেবে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ তৈরির দাবি ছিল উত্তরবঙ্গবাসীর। বিগত চল্লিশ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলির দীর্ঘ টালবাহানা চলেছে। অবশেষে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর শুরুর দিন থেকেই জোড় কদমে সার্কিট বেঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুনঃ সারদা রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে মমতার পুলিশ কর্তাদের বারবার তলব গোয়েন্দাদের
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে নির্দিষ্ট জমিতেই শুরু হয় সার্কিট বেঞ্চ নির্মাণ এর কাজ। বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে মিলে হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই রেকর্ড রুম, আইনজীবীদের বসার জায়গা, কোর্টরুমগুলিকে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি সার্কিট বেঞ্চ ডিজিটাইজ হবে সে কারনে হাইকোর্টের আদলে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নতুন যুদ্ধ, রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে মমতার দুই অফিসারকে ডেকে পাঠাল ইডি
তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য্য সহ কয়েকজন বিচারপতি ও আইনমন্ত্রী নিজে এসে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যুদ্ধকালিন প্রস্তুতির সঙ্গে সম্পন্ন হয় সার্কিট বেঞ্চের কাজ। কয়েক দফায় হাইকোর্টের জনাকয়েক বিচারপতি জলপাইগুড়ি এসে সার্কিট বেঞ্চের সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। কিন্তু তৈরি হয়েও পরেছিল জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ সারদা চিটফান্ডে সর্বহারাদের দেখেই কি তাড়াতাড়ি ধর্ণা শেষ করলেন মমতা
কলকাতা হাইকোর্ট সার্কিট বেঞ্চ চালুর বিষয়টা জানিয়েও দেয় সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রীয় সরকারকে। তবে এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আইনি বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছিল না কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো, কর্মী নিয়োগ পরীক্ষা ও নির্বাচন হয়ে যাবার পরও কেন্দ্র সার্কিট বেঞ্চের অনুমোদন আটকে রেখছে বলে, বারবার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
আরও পড়ুনঃ উঠল বিজেপি বিরোধী সত্যাগ্রহ ধর্ণা, ধর্মতলার ধর্ণা প্রধানমন্ত্রী করতে পারবে মমতাকে
মমতার অভিযোগ ছিল, “অনুমোদন দেওয়া অল্প সময়ের কাজ, একদিনেই তা করা যায়। কিন্ত দিল্লিতে মোদীর সরকার দিনের পর দিন তা আটকে রাখছে। অসাংবিধানিক ভাবে সার্কিট বেঞ্চের অনুমোদন আটকে রেখেছে মোদী সরকার। শুধু মাত্র রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ও সার্কিট বেঞ্চ চালু করার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখের জন্য পুরো বিষয়টা ঝুলে রয়েছে”।
আরও পড়ুনঃ নারীদের নিয়ে অবাক করা সিদ্ধান্ত নিল শবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ
জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ চালু করার দাবীতে উত্তরবঙ্গের আইনজীবী ও আইনি কর্মীরা প্রায়ই ধর্ণায় বসেন। শিলিগুড়ি আদালতেও শীঘ্র সার্কিট বেঞ্চ তৈরির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। শেষ পর্যন্ত এল কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র। এর ফলে কলকাতা হাইকোর্টে ছুটে আসার হাত থেকে বাঁচবেন সাধারণ মানুষ ও আইনজীবীরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত স্বামীকেও কি কংগ্রেসে আনছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
আরও পড়ুনঃ সিবিআই জেরা থেকে পালাতে পারবেন না রাজীব কুমার, মমতা বললেন ‘নৈতিক জয়’
আরও পড়ুনঃ মমতার নির্দেশে সিবিআই অফিসারদের আটক করে বাংলার আইপিএসরা বিপদে
আরও পড়ুনঃ সারদা চিটফাণ্ড মামলায় রাজীবকে জেরা করতে কি কি প্রশ্ন সাজাচ্ছে সিবিআই
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।