মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সারা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে নিজের মূর্তি গড়েছিলেন মায়াবতী, মূর্তি গড়তে ব্যাপক পরিমানে জনগনের টাকা নয়ছয় করা হয়, এই অভিযোগে ২০০৯ সালে মায়াবতীর বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য পেশ করেন মায়াবতী। বক্তব্যে নিজের বিয়ে না করার কারণও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বারবার স্বামী বদল করেন স্মৃতি ইরানী, কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ কংগ্রেস জোটসঙ্গীর
ফেব্রুয়ারিতেই একটি শুনানিতে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তার রায়ে জানান, মূর্তি তৈরির জন্য যে অর্থ খরচ হয়েছে, তার পুরোটাই মায়াবতীকে ফেরত দিতে হবে। উত্তরপ্রদেশে ৬০ টি হাতির মূর্তি তৈরির জন্য মায়াবতী খরচ করেছিলেন ৫২ কোটি টাকা, যা নিয়েও তখন প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যে ৩০ শতাংশেরও কম স্পর্শকাতর বুথ
এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট মায়াবতীর কাছে জবাবদিহি চাইলে তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় সবার সাথে আলোচনা করেই মূর্তি তৈরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর জন্য রাজ্য বাজেটে আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুনঃ মোদী স্পেশাল, ব্রিগেডে আসার জন্য চারটে আস্ত ট্রেন বুক করল বিজেপি
মায়াবতী বলেন, দরিদ্রে উন্নয়নে নিজেকে আজীবন নিয়োজিত রাখার জন্যই তিনি বিবাহ করেননি। তার লড়াই দরিদ্র নারীদের জন্যেও। মায়াবতীর মূর্তিগুলো দরিদ্র ও দলিত নারীদের সংগ্রামের প্রতিমূর্তি হিসেবেও তিনি ব্যাখ্যা দেন।
আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে হেলিকপ্টার পাচ্ছেন না মমতা, অভিযোগের তীর কেন্দ্রের দিকে
মায়াবতী আরও জানান, জনগনের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই মূর্তি তৈরির উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, ফলে এই সিদ্ধান্ত জনগনেরই মতামতের প্রতিফলন বলে তিনি জানান। মূর্তি স্থাপনকে তাই দলিত ও নারীদের আন্দোলনের প্রতীক রূপে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বছরে ৩৪ লাখ সরকারি চাকরি, কৃষক বাজেটের প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস ম্যানিফেস্টোতে
অন্যান্য রাজনৈতিক দলও তাদের দলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভাস্কর্য স্থাপন করে বলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন মায়াবতী। যে ব্যক্তি মায়াবতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তাকেও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
মায়াবতী তার তৈরি মূর্তির ব্যাপারে আরও বলেন, তার দলীয় প্রতীক হাতি শুধুমাত্র তার দলের প্রতিনিধিত্ব করে না, হাতি ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক।
আরও পড়ুনঃ জম্মু কাশ্মীরের জন্য আলাদা প্রধানমন্ত্রী, মোদী জবাব চাইলেন রাহুল ও মমতার কাছে
যিনি পিটিশন দাখিল করেছিলেন, তার অভিযোগ, মূর্তি গড়তে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচা করেছেন মায়াবতী, যার পুরোটাই জনসাধারনের করের টাকা। জনগনের টাকা দলের স্বার্থে এভাবে ব্যবহার করা যায় না বলে তিনি জানিয়েছেন।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।