অন্যান্য নেতাদের কুর্তা ও মিষ্টি না পাঠানোয় মমতার ওপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা

427
অন্যান্য নেতাদের কুর্তা ও মিষ্টি না পাঠানোয় মমতার ওপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা/The News বাংলা
অন্যান্য নেতাদের কুর্তা ও মিষ্টি না পাঠানোয় মমতার ওপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা/The News বাংলা

অন্যান্য নেতাদের কুর্তা ও মিষ্টি না পাঠানোয় মমতার ওপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা। মোদীর কুর্তার সাইজ কি করে জানলেন তুলে দিলেন বিতর্কিত প্রশ্ন। আর এই নিয়েই শোরগোল রাজ্য ও দেশের রাজনৈতিক মহল। মমতার কুর্তা ও মিষ্টি না পেয়েই কি ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা? উঠে গেছে প্রশ্ন। আর সব নিয়ে জমজমাট মমতা-মোদী কুর্তা বিতর্ক।

আরও পড়ুনঃ নুড়ি পাথর ভরা মাটির মিষ্টি খাইয়ে মোদীর দাঁত ভাঙবেন, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতার

কুর্তা ও রসগোল্লা নিয়ে এখনো জমজমাট বাংলার রাজনীতি। কুর্তা, রসগোল্লা পাঠানো নিয়ে বাংলা ও দিল্লির দড়ি টানাটানি অব্যাহত। তারই মধ্যে কলকাতায় এসে এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর। মোদী ছাড়া অন্যান্য নেতাদের কেনো মমতাজি কুর্তা ও রসগোল্লা পাঠাননি, এই প্রশ্ন ছূঁড়ে দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ একের পর এক মিথ্যা বলে গোটা বাংলাকে আশঙ্কায় রাখার শাস্তি কি পাবেন অর্ণব অনিশা

তিনি বলেন, বাংলার বিখ্যাত দুটো জিনিসের মধ্যে একটি হচ্ছে রসগোল্লা, অন্যটি কুর্তা। কিন্তু একমাত্র মোদী ছাড়া অন্য কাউকে সেগুলো পাঠিয়েছেন বলে তার জানা নেই, এমনটাই জানান রাজ বব্বর। মোদীজীর কুর্তার মাপও মমতাজী জানেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

সম্প্রতি টেলিভিশনে অক্ষয় কুমারের সাথে এক ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, মমতা দিদি প্রতি বছর তাঁকে কুর্তা ও রসগোল্লা পাঠান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয় জোর বিতর্ক।

আরও পড়ুনঃ শীঘ্রই আসছি ইনশাল্লাহ, বাংলায় পোস্টার ভয়ঙ্কর ইসলামিক স্টেটের

বুধবার বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সম্পর্কের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, বছরে অন্তত একবারের জন্য হলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জন্য কুর্তা ও মিষ্টি পাঠান এবং প্রতি বছরেই মুখ্যমন্ত্রী সেটি করে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে টুপি পরতে দেবে না, বিতর্কিত মন্তব্য ফিরহাদের

বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কুর্তা ও মিষ্টি পাঠানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। মিষ্টি পাঠানোর বিষয়টিকে সৌজন্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপরেই আসরে নামে সিপিএম। মিষ্টি পাঠানোর বিষয়টিকে দিদি মোদীর গোপন বোঝাপড়ার ফলাফল বলে কটাক্ষ নামে তারা।

আরও পড়ুনঃ উত্তপ্ত ইলামবাজার, বিজেপি অফিস ভাংচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বুধবারের আলাপচারিতার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রতি বছর বিশেষ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের স্পেশাল মিষ্টি পাঠান। তার পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টানেন তিনি। তারপরেই মিষ্টি নিয়ে বাংলা ও দিল্লির রাজনীতি জমজমাট আকার নিয়েছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন