বাংলায় বিজেপিকে ঠেকাতে; নবান্নে মমতার সমন্বয় বৈঠক সোমবার। ডাক সব নেতাকেই। ডাকা হয়েছে সব বিধায়ক, সাংসদ ও জেলা সভাপতিদের। কোথায় কাজ হয়নি, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে; সব খবর নিতেই বৈঠক। বিজেপিকে কিভাবে আটকান যাবে? এই হিসাব নিতেই নবান্নে বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে।
লোকসভা ভোটে গেরুয়া ঝড়; গোটা ভারতেই। বাদ নেই বাংলাতেও। ৪২ এ ৪২; স্বপ্ন ভেঙে গেছে। তৃণমূল পেয়ে মাত্র ২২টি আসন। ১৮টি আসন পেয়ে বাংলায় জাঁকিয়ে বসেছে বিজেপি। ২০২১ এই কি শেষ; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার? রাজনৈতিক মহলও সেরকমই ভাবছে। আর সেটা আটকাতেই বদ্ধ পরিকর মমতা।
সোমবার নবান্নে সব বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাধিপতি; ও অন্যান্য নেতাদের ডাকা হয়েছে। তাঁদের কাছে কাজের হিসাব চাইবেন মমতা। বিজেপিকে আটকাতে ফের কোমড় বেঁধে নামতে চাইছেন মমতা; এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফের কার কপালে জুটবে মমতার বকুনি; আশঙ্কায় তৃণমূল নেতারা।
আগামী ৭ জুন থেকে তৃণমূলের জেলাওয়াড়ি কর্মী সম্মেলনের; ডাক দিয়েছেন দলনেত্রী। প্রত্যেক জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে; আলাদা আলাদা করে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতার। পাশাপাশি জনসংযোগ বাড়াতে মন্ত্রী, বিধায়কদের; নিজেদের এলাকা না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা।
অন্যদিকে, একের পর এক দলের বিধায়ক, নেতারা যেভাবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন; তাও চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। সে কারণেই লোকসভা নির্বাচনের পর দলীয় সংগঠনের ভিত শক্ত করাই এখন ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ মমতা ব্রিগেডের কাছে।
তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে; বেশ কিছু দলীয় নেতৃত্বে রদবদল করা হয়েছে। নদিয়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মালদার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; গোলাম রব্বানি ও সাধন পাণ্ডেকে। সব জেলাই নজরে রাখতে শুভেন্দু অধিকারীকে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে দাঁড়িয়ে ব্লকে ব্লকে; জয় হিন্দ বাহিনী তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। বাহিনীর চেয়ারম্যান করা হয়েছে ব্রাত্য বসুকে; ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে ইন্দ্রনীল সেনকে। বাহিনীর প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বঙ্গজননী কমিটিরও দায়িত্বও; ভাগ করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কমিটির দায়িত্বে কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের নতুন মুখপাত্র করা হল ব্রাত্য বসু; মহুয়া মৈত্র; শুভেন্দু অধিকারী; চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য; ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার নবান্নে কি হয়; সেই দিকেই এখন তাকিয়ে তৃণমূল নেতারা।