জনতার অসন্তোষে আক্রান্তকে; মমতার ক্ষতিপূরণ কি নাম ধর্ম দেখে? প্রশ্ন বিজেপির। ঝাড়খণ্ডের পর এবার; ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার সাক্ষী বাংলাও। ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি না দেওয়ায়; চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা খোদ কলকাতায়। এবার জনরোষের শিকার মাদ্রাসার এক শিক্ষক। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন তিনি। আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
বুধবার বিভানসভা অধিবেশনে; এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান ওই শিক্ষক সহ; আরও ২জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। আর তারপরেই এই ঘটনায় বসিরহাট, বাদুরিয়া ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া; ডায়মন্ডহারবারের বিষ্ণুপুরের ঘটনা টেনে, মমতাকে তুলোধোনা করে বিজেপি। ফের মমতার বিরুদ্ধে তোষণ রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুনঃ ভারতের রঙ কমলা, পরিবর্তনের পিছনেও মোদীর হাত দেখছে বিরোধীরা
মাদ্রাসা শিক্ষক মহম্মদ শাহরুখ হালদার; ট্রেনের মধ্যে নিগৃহীত হন একটি ধর্মীয় সংগঠনের হাতে। ট্রেনে করে ক্যানিং থেকে শিয়ালদা আসছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ট্রেনে আগে থেকেই একটি ধর্মীয় সংগঠনের কিছু সদস্য ছিলেন। পরে বিভিন্ন ষ্টেশন থেকে; আরও সমর্থকরা ওঠেন ওই ট্রেনে। তারা এক মুসলিম যুবকের; ধর্মীয় মতামত ও পোষাক নিয়ে কটূক্তি শুরু করে। শাহরুখ এর প্রতিবাদ করলে; তিনিও শিকার হন কটু মন্তব্যের।
বালিগঞ্জ ষ্টেশনে ওই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বাড়লে; শুরু হয় ধর্মীয় শ্লোগান। অভিযোগ, ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান দেওয়ার জন্য; বাধ্য করা হয় ওই মাদ্রাসা শিক্ষক ও আরও কয়েকজনকে। বচসার মধ্যেই একজন তাঁর ডান চোখে ঘুষি মারেন। তিনি কামরায় পড়ে গেলে; পার্ক সার্কাস স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে; চলন্ত ট্রেন থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর; বালিগঞ্জ জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তবে পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শাহরুখ হালদারের বাড়ি বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রামে। তিনি হুগলির এক বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন; “আগেও বসিরহাট, বাদুরিয়া সহ; ডায়মন্ডহারবার ও বিষ্ণুপুরেও অসন্তোষে আমরা দেখেছি। কিন্তু কেউ কোন ক্ষতিপূরণ পাননি। মমতা কি নাম ধর্ম দেখে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন?” যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে জানান হয়েছে; দিলীপ ঘোষ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। সব নিয়ে ফের তোষণ রাজনীতি নিয়ে উত্তাল বাংলা।