নিজস্ব পরামর্শদাতা: বাঙালি মাত্রই মিষ্টি খেতে ভালোবাসে। আর মিষ্টির নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে গোল গোল রসে ডোবানো টইটম্বুর রসগোল্লা। ডায়াবেটিসের কারণে অনেকেই রসগোল্লা খেতে পারেন না। আর তাই তাদের জন্য রয়েছে স্পঞ্জ রসগোল্লা।
একটু হালকা মিষ্টি বলে সকলেই এটা খেতে ভালোবাসেন। বাড়িতে যতই চেষ্টা করুন না কেন দোকানের মত স্পঞ্জ রসগোল্লা কেন জানি হতে চায় না। দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটা তাহলে কি? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটি।
উপকরণ:
১ লিটার দুধ
২ কাপ চিনি
২-৩ টেবিল চামচ লেবুর রস
প্রণালী:
১। চুলায় দুধ গরম করতে দিন। গরম করার সময় বার বার নাড়তে থাকুন।
২। লেবুর রসের সাথে ২ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে সেটি দুধে দিয়ে দিন।
৩। দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে একটি পাতলা সুতির কাপড়ে জল ঢেলে ছেঁকে নিন।
৪। এবার ঠান্ডা জল দিয়ে ছানা ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ছানাকে নরম করবে না, লেবুর ময়লাও দূর করে দেবে।
৫। এবার ছানা থেকে ভাল করে জল বের করে নিন। আরও ভাল করে জল বের করার জন্য ৩০ মিনিট কাপড়টি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন ছানা যেন খুব বেশি ড্রাই না হয়ে যায়।
৬। এখন ১০ কাপ জলে দুই কাপ চিনি দিয়ে রস তৈরি করে নিন।
৭। ছানা কাপড় থেকে বের করে নিয়ে ভাল করে মেখে নিন।
৮। লক্ষ্য রাখবেন ছানাতে যেন জল না থাকে আবার খুব বেশি ড্রাইও যেন না হয়ে যায়।
৯। এবার ছানাগুলো দিয়ে ছোট ছোট রসগোল্লা তৈরি করে নিন।
১০। চিনির রসে তে রসগোল্লাগুলো দিয়ে দিন।
১১। চিনির রস প্রেসারে কুকারে করলে উচ্চ তাপে ১৫ মিনিট সময় ঠিক করে নিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নাড়া দিন। তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে দিন।
১২। ১৫ মিনিট পর রসগোল্লাগুলো রস সহ একটি পাত্রে ঢেলে দিন।
১৩। এভাবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রেখে দিন।
১৪। ৬-৭ ঘন্টা পর তৈরি হয়ে যাবে নরম নরম স্পঞ্জ রসগোল্লা।
ব্যাস আর কি। বাড়িতে নিজের হাতেই গরম গরম রসগোল্লা তৈরি করে খাওয়ান প্রিয়জনদের। চমকে দিন বন্ধুদের।