রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী মুকুট মণি অধিকারীর মনোনয়নই বাতিল হল। তাঁর সরকারী চাকরিতে ইস্তফাপত্র গৃহীত হয় নি বা ওই ইস্তফাপত্র গ্রহনের কপি এসে পৌঁছায় নি। ওই আসনে বিজেপির প্রতীকের লড়বেন নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক এর সভাপতি জগন্নাথ সরকার। এর ফলে জোর ঝটকা খেল বিজেপি। প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখন, প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছিল। আবার নতুন করে শুরু করতে হবে বর্তমান প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে। অবশ্য এটাকে নদীয়া জেলা বিজেপির তরফ থেকে ‘সাপে বর হল’ বলেই বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মমতা আরএসএস কোর কমিটির সদস্য, জানিয়ে দিলেন অধীর
বিজেপি–র রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে নাটক অব্যাহতই ছিল মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিনেও। এই কেন্দ্রের জন্য দলের ঘোষিত প্রার্থী ডাঃ মুকুট মণি অধিকারীর প্রার্থিপদ নিয়ে জটিলতা ছিলই। স্ক্রুটিনির আগে সরকারি চাকরি ছাড়ার ছাড়পত্র না পেলে বাতিল হতই তাঁর প্রার্থিপদ। আর সেটাই হল। এসে পৌঁছায় নি তাঁর রিলিজ অর্ডার। ফলে বাতিল হয়ে গেল তাঁর মনোনয়ন পত্র।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রতর নকুল দানার পরিবর্তে মুড়ির মোয়ায় ভরসা লকেটের
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী মুকুট মণি অধিকারী এদিন মনোনয়নপত্র পেশও করেন। পাশাপাশি এদিন দলের হয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করেন দলের নদিয়া দক্ষিণের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকারও। দুজন কিছুক্ষণ বসে থাকলেও কথাবার্তা বিশেষ বলেননি।
মুকুটমণি জানিয়েছেন, দলের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করছেন। তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেটা মিটে যাবে। তাঁর দল বিষয়টি দেখছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর সরকারী চাকরিতে ইস্তফাপত্র এসে পৌঁছায় নি।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা নয় কোচবিহার থেকে ভোট মনিটরিং করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
দলের হয়ে জগন্নাথ সরকার বা অন্য কেউ মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন বলে তাঁর কিছু জানা নেই, বলেই এদিন জানান মুকুট মণি অধিকারী। দল এ বিষয়ে তাঁকে কিছু জানায়নি বলেই জানান তিনি। অন্যদিকে এ বিষয়ে জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, দলের ঘোষিত প্রার্থী ডাঃ মুকুটমণি অধিকারী। তবে তাঁর প্রার্থিপদ নিয়ে জটিলতা আছে। সে কারণেই দলের নির্দেশে তিনিও প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পথ হারাল মমতার হেলিকপ্টার, হতে পারত বড় বিপদ
এদিন এই দুই প্রার্থীই নদীয়া জেলাশাসকের কার্যালয়ে আলাদাভাবে তাঁদের অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করে এসে মনোনয়নপত্র পেশ করেন। কার্যালয়ে এই সময়ে প্রচুর মানুষ ঢুকে যান। তার ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ অতিরিক্ত বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে বার করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মুকুট মণি অধিকারীর বদলে জগন্নাথ সরকার প্রার্থী হওয়ায় সাপে বর হল বলেই মনে করছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুনঃ মোদীকে আটকে দিল নির্বাচন কমিশন, ভোটের আগে জোর ঝটকা
এছাড়াও বিজেপি–র অতিপরিচিত আরও দু–জন নেতাও এদিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এঁরা হলেন মানবেন্দ্র রায় এবং সুজিত বিশ্বাস। মানবেন্দ্র রায় এর আগে ২০১৫ সালে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি–র প্রার্থী হয়েছিলেন। এই দুই প্রার্থী কিছু বলতে চাননি। তবে জানা গেছে, এঁদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের প্রতীক সংবলিত নথি দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে এঁরা প্রার্থিপদ প্রত্যাহার না করলে, নির্দল হিসেবে পরিগণিত হবেন।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিমির বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকল যাদবপুর
আরও পড়ুনঃ ভোট বুথে গুন্ডাগিরি ও রিগিং রুখতে নির্বাচন কমিশন আনল বিশেষ অ্যাপ
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।