The News বাংলা: আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে কুম্ভ মেলা। শুরু হবে অর্ধকুম্ভের পুণ্য স্নান ও মেলা। সেজে উঠেছে গোটা এলাহাবাদ বা এখন প্রয়াগরাজ। জেনে নিন কুম্ভমেলা কি ও কখন কখন হয়।
আরও পড়ুন কুম্ভমেলায় বিশ্বরেকর্ড গড়ল যোগীর রাজ্য, তৈরি হল আস্ত একটা শহর
কুম্ভমেলা একটি হিন্দু উৎসব। এই উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা তীর্থস্নান করতে আসেন। বিশ্বের বৃহত্তম শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হিসাবে এলাহাবাদ(এখন প্রয়াগরাজ) পূর্ণকুম্ভে ২০১৩ সালে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ এসেছিলেন। প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও এলাহাবাদে(এখন প্রয়াগরাজ) অর্ধকুম্ভ মেলা বসে।
প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জ্বয়িনী ও নাসিকে পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হয়। হিসাব করলে দেখা যায় প্রতি তিন বছর অন্তর চার জায়গার কোথাও না কোথাও কুম্ভমেলা বসছে, তা সে পূর্ণই হোক বা অর্ধ। বারোটি পূর্ণকুম্ভ অর্থাৎ প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর প্রয়াগে আয়োজিত হয় মহাকুম্ভ।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটের আগেই মমতার ঘর ভাঙছেন মুকুল, সৌমিত্রকে দিয়ে শুরু
আরও পড়ুনঃ সোনিয়া রাহুলকে ১০০ কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার নোটিশ
কুম্ভমেলা চারটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আয়োজিত হয়। এই চারটি স্থান নির্বাচিত হয় বৃহস্পতি ও সূর্যের অবস্থান অনুসারে। বৃহস্পতি ও সূর্য সিংহ রাশিতে অবস্থান করলে নাসিকের ত্র্যম্বকেশ্বরে। সূর্য মেষ রাশিতে অবস্থান করলে হরিদ্বারে। বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে এবং সূর্য কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করলে প্রয়াগে। এবং সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করলে উজ্জয়িনীতে মেলা আয়োজিত হয়।
সূর্য, চন্দ্র ও বৃহস্পতির রাশিগত অবস্থান অনুযায়ী মেলা আয়োজনের তিথি(তারিখ) নির্ধারিত হয়। কুম্ভমেলা নদীকেন্দ্রিক। প্রতি মেলাস্থলের সঙ্গে এক বা একাধিক নদী জড়িয়ে আছে। কারণ বিশেষ বিশেষ তিথিতে পুণ্যস্নানই হল কুম্ভমেলার প্রধান অঙ্গ।
এলাহাবাদে মেলা বসে গঙ্গা-যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমে। আর হরিদ্বারে বইছে গঙ্গা, উজ্জয়িনীতে শিপ্রা এবং নাসিকে গোদাবরী। গোদাবরী তীরে নাসিকে পুণ্যস্নান দু জায়গায় হয়। বৈষ্ণবরা স্নান করেন নাসিকের রামকুণ্ডতে আর শৈবরা স্নান করেন নাসিক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ত্র্যম্বকেশ্বরে।
১৮৩৮ সালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক হিংসার ফলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হিন্দু পুরাণে বলা আছে, সমুদ্র মন্থন করে অমৃত কুম্ভের হাঁড়ি পাওয়ার পর দেবতারা যখন সেই হাঁড়ি নিয়ে পালাচ্ছিলেন, তখন হাঁড়ি থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃত পড়েছিল যে চার জায়গায়, সেখানেই বসে কুম্ভমেলা।
আরও পড়ুনঃ উচ্চবর্ণের গরীব হিন্দুদের জন্য সংরক্ষণ মোদীর, দেশ জুড়ে বিতর্ক
আরও পড়ুনঃ ফের গরু চোর সন্দেহে খুন, এবার ‘গোরক্ষকের’ নাম মুসলিম মিঁয়া
সেই কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করেই পর্যটনে জোর দিয়েছে যোগী সরকার। ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ করেছে যোগীর উত্তরপ্রদেশ সরকার। আর তাতেই অস্থায়ী শহর হিসাবে প্রয়াগরাজের নাম উঠে গেল বিশ্বরেকর্ড-এর তালিকায়।
কুম্ভের নজিরবিহীন প্রস্তুতি। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে অর্ধকুম্ভের পুণ্য স্নান ও মেলা। এই উপলক্ষে এই বছর যে প্রস্তুতি নিয়েছে যোগীর রাজ্য প্রশাসন তা এককথায় নজিরবিহীন। সম্প্রতি নাম পরিবর্তন হওয়া প্রয়াগরাজের গা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে স্বল্প সময়ের জন্য আস্ত একটা শহর। যা একটা বিশ্বরেকর্ড। অস্থায়ী শহর হিসাবে যার নাম উঠে গেল বিশ্বরেকর্ড-এর তালিকায়।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।