পুজোর আগেই; কলকাতায় এসে হাজির নতুন অতিথি। আকর্ষণের কেন্দ্রস্থল কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানায় আনা হল; চার হলুদ অ্যানাকোন্ডা। এবার আমাজন ছাড়াও; অ্যানাকোন্ডা দেখা যাবে শহর কলকাতায়।
চেন্নাই স্নেক পার্ক; ‘মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক’ থেকে; সড়কপথে আসে এই চারটি অ্যানাকোন্ডা। যাদের থাকার জন্য বিশেষ এনক্লোজার তৈরি হয়েছে; গন্ডারের আস্তানার ঠিক পাশে।
আরও পড়ুনঃ পাল্টাচ্ছে মেট্রো রেলের সময়, কলকাতা মেট্রোয় বাড়ছে ট্রেনের সংখ্যা
বিশেষভাবে তৈরি হওয়া এনক্লোজারের সামনে থাকবে; ৩০ ফুট লম্বা; বিশেষ ভাবে শক্ত করা টাফেনড গ্লাস। অ্যামাজন রেনফরেস্টের আদলে তৈরি হবে সাপদের থাকার জায়গা। এনক্লোজারের ঠিক মাঝখানে থাকবে একটা ঝরনা।
টাফেনড গ্লাসের দেওয়াল ওই জলাশয়ের আট ইঞ্চি গভীরতা থেকে উঠে আসবে। এনক্লোজারের বাসিন্দারা যদি জলের নীচে ঘাপটি মেরে বসে থাকে, তাহলেও ডিসপ্লে ওয়ালের ও পারে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকরা তাদের দেখতে পাবেন সহজে।
জল ঘোলাটে হয়ে গিয়ে দর্শকদের যাতে দেখতে কোনও অসুবিধা না হয়; সে জন্য নিয়মিত এই জল বদলে ফেলার ব্যবস্থা থাকবে। এনক্লোজারে সব সময়ই যাতে রোদ থাকে তার জন্যও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ ফ্যাসিবাদে আক্রান্ত দেশ, প্রথম ভাষণেই মোদীকে কটাক্ষ মহুয়ার
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়; “অ্যানাকোন্ডাগুলি হলুদ এবং কালো রঙের। লম্বায় চার থেকে সাড়ে চার ফুটের কাছাকাছি। সবক’টিই প্রাপ্তবয়স্ক। আপাতত এগুলিকে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হবে না। নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সেগুলিকে তাদের খাঁচার পাশে একটি ঘরে এক মাস রাখা হবে। খেতে দেওয়া হবে ছোট ইঁদুর”।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে; এনক্লোজারের মধ্যে অ্যানাকোন্ডাদের স্বাভাবিক পরিবেশে রাখার জন্য তৈরি করা হবে নানা ধরনের অর্কিড সহ কৃত্রিম জঙ্গল। অ্যানাকোন্ডার শিকারের প্রবৃত্তি নষ্ট না হয়; সে জন্য এনক্লোজারের জলাশয়ে থাকবে মাছ।
অধিকর্তা জানাচ্ছেন, অ্যানাকোন্ডার এনক্লোজারের সঙ্গে আরও দু’টো কক্ষ থাকবে। একটা কক্ষে সব সময়ের জন্য একজন ‘কিপার’ থাকবেন। অন্য কক্ষ সাপের চিকিৎসার জন্য। এ ছাড়া শীতকালের কথা মাথায় রেখে এনক্লোজারের মধ্যে রাখা হবে দু’টো হিট চেম্বার। তবে এবারের শীতের যে প্রধান আকর্ষণ এই দুজোড়া অ্যানাকোন্ডা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।