বয়স্ক এক রুগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত; এনআরএস হাসপাতাল। ৮৫ বছরের এক রুগি মারা যাবার পরে; প্রায় দুশো জন লোক লরি করে এসে ইমারজেন্সিতে ঢুকে কর্তব্যরত ও যারা কর্তব্যরত ছিলেন না; তাদের উপর আক্রমণ করে। এর ফলে দুজন গুরুতর আহত হয়; একজনের মাথার ফ্রন্টাল বোনে ডিপ্রেসড ফ্র্যাকচার হয়েছে এবং তার অবস্থা সঙ্কটজনক।
এই ঘটনায় কলকাতা সহ সারা রাজ্যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে; কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জুনিয়ার ডাক্তার সংগঠনগুলি। সমস্ত কলেজের আউটডোরে চিকিৎসা বন্ধ; জুনিয়ার চিকিৎসকরা; এন আর এস হাসপাতালের; মূল গেট বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছে।
এসএসকেএম সহ সব হাসপাতালের ডাক্তাররা; এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। প্রথমে রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালের আউটডোর দু ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়; জুনিয়ার ডাক্তাররা; পরে এন আর এস কাণ্ডে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে; জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি যতক্ষন এই ঘটনার উপযুক্ত বিহিত না হয়; ততক্ষন কর্মবিরতির চলবে; শুধু দোষীদের শাস্তি পেলে চলবে না; ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ব্লে দাবি তুলেছে জুনিয়ার ডাক্তাররা।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে; এই মুহূর্তে এন আর এস ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় আহত ইন্টার্নের অবস্থা বেশ সংকটজনক। সে কোমাতেও চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। জুনিয়ার ডাক্তারের বক্তব্য; ছেলেটা যেন সুস্থ হয়ে যায়। আর যদি তার কোন ক্ষতি হয়, তাহলে এক ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিতে পারে সমগ্র ডাক্তার সমাজ।
অচলাবস্থা হাসপাতালে। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ও তাদের পরিবারবর্গ সমস্যায় পরেছেন। সুদূর বালুরঘাট, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও রাজ্যের অনান্য জেলা থেকে আসা; কতশত মুমূর্ষু বাচ্চা, মহিলা ও বয়স্ক মানুষ আজ কিছু দুষ্কৃতির জন্য অপরিসীম ভোগান্তির মধ্যে। কিন্তু ডাক্তার মহলও আজ নিরুপায় বলেই দাবি করেছে ডাক্তারদের সংগঠনগুলি। এইরকম পরিস্থিতিতে আর যাই হোক সেবা করা যায় না; বলেই তাদের মত।
সকাল থেকেই এন আর এস এ হাজির চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু এই আন্দোলন থামাতে পারেননি। এন আর এস থেকে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ল গোটা বাংলায়। গুরুতর আহত জুনিয়ার ডাক্তার মারা গেলে; সেটা বাংলার চিকিৎসা জগতে একটা লজ্জাকর কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে।